শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ধর্ম দর্শন

মিলাদ শরিফ সম্বন্ধে পাক ভারত উপমহাদেশের প্রখ্যাত উলামায়ে কেরামের অভিমত

বিশ্বময় ইসলামের জাগরণ

আল্লামা মুজাহিদ উদ্দীন চৌধুরী দুবাগী | প্রকাশের সময় : ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

শুধু পাক ভারত উপমহাদেশের নয় বরং শায়খুল আরব ওয়াল আজম, মুরশিদে কামিল অলিকুল শিরোমণি হযরত হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কী (রঃ) এ সমস্ত উচ্চমর্যাদা সম্পন্ন ব্যক্তিত্বের মধ্যে হন যাঁরা বিশেষতঃ পাকভারত উপমহাদেশের মধ্যে এসব উল্লেখযোগ্য কার্যাবলী বাস্তবায়িত করেছেন যার তুলনা নেই। আজকাল পাক ভারতে মুসলমানদের মধ্যে যে পরিমাণ ইসলাম অবশিষ্ট আছে তা তাঁরই রেহানীকৃত অনুগ্রহের পরিণাম। তিনি ছিলেন ইসলাম ধর্ম তথা শরীয়ত ও মারিফাতের উজ্জ্বল প্রদীপী। হিন্দুস্থানের প্রায়ই বিশেষ করে দেওবন্দের আকাবির অর্থাৎ পূর্বতন বড় বড় উলামা ও বুজুর্গানে দ্বীন তাঁর মুরীদ এবং খলীফা । যেমনঃ হযরত মাওলানা রশীদ আহমদ গাংগুহী (রঃ), হযরত মাওলানা মুহাম্মদ কাছিম নানুতভী (রঃ) হযরত মাওলানা ইয়াকুব নানুতভী (রঃ), হযরত মাওলানা জুলফিকার আলী, হযরত মৌলানা আশরাফ আলী থানভী (রঃ) প্রমুখ যারা পরবর্তীতে স্ব স্ব রীতি এবং নীতির উপর ইসলামের ঐ সমস্ত মহীয়ান গরীয়ান খেদমত সম্পাদিত করেছেন যার নযীর দুনিয়া পেশ করতে অক্ষম। (কুলি­য়াতে ইমদাদিয়া)
শায়খুল আরব ওয়াল আজম হযরত হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজির মক্কী (রঃ) ইরশাদ করেছেন যে, আমার নীতি হচ্ছে “আমি মীলাদ মাহফিলে যোগদান করি, বরং বরকতের ওসীলা মনে করে আমি নিজেই প্রতি বছর এ আয়োজন করে থাকি এবং কিয়ামে আনন্দ ও তৃপ্তি পেয়ে থাকি ”।(ইসলাহুর রুছুল ১০৮-১০৯ পৃঃ, মাজালিছে হাকিমুল উম্মত ১৬০-১৬২ পৃঃ)
অতএব তাঁর অভিমতকে আমাদের সবার শিরোধার্য মনে করা আবশ্যক।
হযরত মাওলানা কাছিম নানূতবী (রঃ): দেবওবন্দ মাদ্রাসার প্রবর্তক হযরত মাওলানা কাছিম নানূতবীর জামাতা হযরত মাওলানা আব্দুল্লাহ সাহেব “দুররুল মুনাজ্জাম” কিতাবের অভিমত লিখতে মাওঃ কাছিম নানূতবী (রঃ) এবং হযরত মাওলানা ইয়াকুব নানূতবী (রঃ) যিনি দেওবন্দ মাদ্রাসার প্রধান মুহাদ্দিস ছিলেন তাঁদের সম্বন্ধে লিখেছেন:-যুব্দাতুল উলামা উস্তাদগণের উস্তাদ মাওলানা মুহাম্মদ ইয়াকূব সাহেব প্রধান শিক্ষক মাদ্রাসায়ে আরবিয়া দেওবন্দ, বহুবার দেওবন্দেই মীলাদ শরীফে শরীক হয়েছেন। সকলে কিয়াম করার সময় তিনিও কিয়াম করেছেন এবং ফরমালেন এর আমল যেরূপ হওয়ার ছিল সেরূপ নেই। তবুও যখন নবীজীর জন্ম আলোচনার সময় সারা মহফিল দাঁড়িয়ে যাবে তখন কিয়াম ব্যতীত বসে থাকা বেআদবী থেকে খালি নয়। হযরত মাওলানা সাহেবের এ কথা ও আমলের উপর তাঁর অনেক ছাত্র এবং শহরবাসী অনেকই সাক্ষী রয়েছেন।
এছাড়া খান্দানে মুস্তফা জামে শরীয়ত ও তরকীত হাজী সৈয়দ মোঃ আবিদ (মুহতামীম মাদ্রাসায়ে দেওবন্দ) ও মাওলানাকে নিয়ে তাঁর নিজ বাসভবনে “বেলাদত শরীফ” ওয়াজের মাধ্যমে উদ্যাপন করেছেন এবং শিন্নিও বিতরণ করেছেন। কাহ্ফুল ফুদ্বালা অর্থাৎ আলিম ফাজিলগণের আশ্রম মাওলানা কাছিম সাহেব নাজিম অত্র মাদ্রাসা তাঁর নিকট হতেও এ কথা অনেক বার শুনা গেছে যে হুযূর সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্মের আলোচনা হলো খায়র ও বরকত হাসিল করার অসিলা বা মাধ্যম। স্বয়ং মাওলানা ও কোন কোন স্থানে মীলাদ মাহফিলে শরীক হয়েছেন। কেননা পীর ওয়াজিদ আলী সাহেব যিনি মাওলানা সাহেবের মুরীদ এবং মীলাদ পাঠক ছিলেন। তিনি এ ঘটনাটির প্রত্যক্ষদর্শী। (দুররুল মুনাজ্জাম)
হযরত মাওলানা খলীল আহমদ সাহারানপুরী (রঃ): প্রশ্নঃ হযরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মীলাদ শরীফের আলোচনা শরীয়তের দৃষ্টিতে হারাম না অন্য কিছু?
উত্তরঃ কখনও নয়, আমরা তো দূরের কথা কোনও মুসলমান এরূপ নয় যে নাকি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মীলাদ শরীফের আলোচনা বরং তাঁর জুতা মুবারকের ধূলি-ঘূর্ণি এবং তাঁর ছওয়ারীর গাধার প্রস্রাবের আলোচনা পর্যন্ত মন্দ বিদআত বা হারাম বলবে। বরং যে সমস্ত জিনিসের রাসূলে পাকের সঙ্গে সামান্যতম সম্পর্ক আছে, এ সমস্তের আলোচনা আমাদের জন্য একান্ত মনোনীত এবং শ্রেষ্ঠতম শ্রেণীর মুস্তাহাব। এতে মীলাদ শরীফের যিকির হোক অথবা তাঁর পেশাব (মোবারক) পায়খানা (মোবারক) উঠাবসা এবং জাগ্রত ও ঘুমন্তের আলোচনা হোক। যেমন আমাদের “বারাহিনে ক্বাতিয়া” নামক পুস্তিকায় বিভিন্ন জায়গায় স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
আর আমাদের মাশায়েখগণের ফাতওয়ায় লিখিত আছে, উদাহরণস্বরূপ হযরত শাহ মুহাম্মদ ইছহাক দেহলভী মুহাজিরে মক্কীর ছাত্র মাওলানা আহমদ আলী মুহাদ্দিস সাহারনপুরীর ফাতওয়া আরবীতে তরজমা করে আমরা নকল করছি, তাহলে সকলের রচনাবলীর নমুনা তৈরি হয়ে যাবে।
মাওলানা সাহেবকে কেহ জিজ্ঞেস করছিল যে, মীলাদ শরীফের মাহফিল কিরূপে জাইয এবং কিরূপে নাজাইয?
মাওলানা সাহেব তদুত্তরে লিখেছেন যে, হযরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মীলাদ শরীফের যিকির সহীহ্ শুদ্ধ রিওয়ায়েত সহকারে এ সমস্ত সময়ে করা যে সময় কোন ফরজ ওয়াজিব ইবাদত করার সময় নয় এবং এমতাবস্থায় করা যা সাহাবায়ে কেরাম এবং তাবিঈন তাবেতাবিঈনের নীতির খেলাফ না হয়। যাদের উত্তম হওয়ার সাক্ষ্য স্বয়ং হুযূরে পাক দান করেছেন। এ সমস্ত ধর্মীয় বিশ্বাস যেগুলো ধারণা প্রসূত না হয়। এ সমস্ত আদব সহকারে উদযাপন করা যা সাহাবায়ে কেরামের নৈতিকতার বিপরীত না হয়, যে সম্পর্কে রাসুলে কারীম রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন যে, আমি এবং আমার সাহাবীগণ যে পথে প্রতিষ্ঠিত (এর বিপরীত কিছু যেন না করা) যে সব মাহফিল শরীয়ত বিরোধী কাজ হতে মুক্ত হয় এবং খালিস নিয়তে কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টির নিমিত্তে করা হয় তবে তা খায়র ও বরকতের কারণ মনে করবে।
এ ধরনের মাহফিলও অন্যান্য নেক যিকরের মাহফিলের ন্যায় এ মাহফিলও নেকীর মাহফিলে গণ্য হবে। ওটা কোন ওয়াক্তের সঙ্গে বৈশিষ্ট্য নয়। যখন মুখাবয়ব এরূপ হবে, তখন আমাদের জানামতে কোন মুসলমানও তাকে নাজাইয বা বিদআত হওয়ার হুকুম দিবে না।
এ দ্বারা বুঝা গেল যে, আমরা মীলাদ শরীফের অস্বীকারকারী নই বরং ঐ সমস্ত নাজাইয বিষয়াদির অস্বীকারকারী যেগুলো এর সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে গেছে। যেমন হিন্দুস্তানের মীলাদ শরীফের মাহফিল সমূহে তিনি স্বচক্ষে দেখেছেন যে, জাল এবং বাজে রেওয়ায়তসমূহ বয়ান হয়। পুরুষ-নারীর বে শামাল আড্ডা মিশ্রণ হয়। আলোকসজ্জা এবং অন্যান্য সাজ সজ্জার মধ্যে ইছরাফ বা অপব্যয় করা এবং যে ব্যক্তি মাহফিলকে জরুরী মনে না করে উপস্থিত না হয় তাকে নিয়ে ঠাট্টা বিদ্রƒপ এবং অবিশ্বাসী সাব্যস্ত করা হয়। এতদ্ব্যতীত শরীয়ত বিরোধী কাজ হতে খালি হওয়া হয়তঃ কোন মীলাদ মাহফিলেই সম্ভবপর নয়। যদি মীলাদ শরীফের মাহফিল শরীয়ত বিরোধী কাজ হতে মুক্ত হয় তবে কখনও আমরা বলব না যে, মীলাদ শরীফ নাজাইয এবং বিদআত এবং কোন মুসলমানের দিকে এ ধরনের খারাপ কথার ধারণা করা কিরূপে সম্ভব হতে পারে?
সুতরাং আমাদের উপর এ অপবাদ বিপথগামী প্রতারকদের অপবাদ। আল্লাহ তা’লা এদেরকে লজ্জিত করুন এবং জলে স্থলে নরম এবং শক্ত জমীনে অভিশপ্ত করুন। (আল মুহান্নাদ আলাল মুফান্নাদ। ফাতওয়া খালীলিয়া ১ম খন্ড, ৪৩৬ পৃঃ)
উপরোক্ত বর্ণনা দ্বারা প্রতীয়মান হল, যে হযরত মাওলানা খলীল আহমদ সাহারানপুরী মীলাদ শরীফের মাহফিল অত্যন্ত পছন্দসই এবং আলা দরজার মুস্তাহাব বলে মত পোষণ করেছেন। যদি এতে নর-নারীর মিশ্রণ না হয় এবং আলোক সজ্জা এবং সাজ সজ্জা করে অপব্যয় করা না হয়। মোট কথা আল্লাহর মর্জির খেলাফ যদি কোন কাজ করা বা কথা বলা না হয় তাহলে এ ধরনের মীলাদ মাহফিল উদযাপন করতে কোন নিষেধ নেই। বরং বহু বড় সাওয়াবের কাজ।
হযরত মাওলানা আশরাফ আলী থানভী (রঃ): তদীয় ইসলাহুর রুসুম নামক কিতাবে বর্ণনা করেছেন যে কোন স্থানে একত্রিত হয়ে সেখানে কোন কিতাব পাঠ করে বা বক্তৃতার মাধ্যমে নবীকুল শিরোমণি হযরত মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর জন্ম, জীবন, আদর্শ, দৈনন্দিন চাল-চলন, মু’জিযা ও কৃতিত্ব ইত্যাদি সম্পর্কিত বিশুদ্ধ বর্ণনাসমূহ আলোচনা করা। আলোচনা প্রসঙ্গে-সৎকাজের আদেশ, মন্দ কাজের নিষেধ ইত্যাদি হুকুম-আহকাম ব্যক্ত করার প্রয়োজন দেখা দিলে তা বলতে কুণ্ঠিত না হওয়া অথবা শরীয়তের বিধি-বিধান শিক্ষাদানের উদ্দেশ্যে আয়োজিত মাহফিলে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবনী আলোচনা করা। এ প্রকারের মীলাদ মাহফিল নির্ভেজাল জাইয বরং মুস্তাহাব ও সুন্নাত। এভাবেই সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্বীয় জীবন ও মর্যাদার আলোচনা করে গেছেন। সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ) থেকে মিলাদের এ পদ্ধতির বর্ণনা পাওয়া যায়। মুহাদ্দেসীনে কেরাম একে আজ পর্যন্ত যথারীতি প্রচলিত রেখেছেন। কিয়ামত পর্যন্ত এ বিশুদ্ধ নিয়ম অনুসৃত হয়ে যাবে।
বর্ণিত মাওলানা সাহেব উক্ত বর্ণনার কয়েক লাইন পর আবার উল্লেখ করেছেন।
এতে নির্ভরযোগ্য ও দ্বীনদার বর্ণনাকারীগণ সহীহ্ ও নির্ভরযোগ্য বর্ণনাসমূহ ব্যক্ত করে থাকেন, এতে যে অর্থ ব্যয় করা হয় তাও হালাল পন্থায় অর্জিত এর আয়োজন ও ব্যবস্থাপনায় অপব্যয় করা হয় না, এতে উপস্থিত লোকজনের পরনে শরীয়ত সম্মত পোশাক পরিচ্ছদ থাকে, কারো কাছ থেকে শরীয়ত বিরোধী কার্যকলাপ প্রকাশ পেলে বক্তা নির্দ্বিধায় তা সংশোধন করতে প্রয়াসী হন, বক্তাগণ যথাপ্রয়োজনীয় হুকুম-আহকাম বর্ণনা করতে কুণ্ঠিত হন না, এতে গানের সুরে কবিতা আবৃত্তি করা হয় না, বক্তার আলোচ্য বিষয় শরীয়তের সীমা লংঘন করে না, মাহফিলের প্রচারকার্যে অতিরিক্ত গুরুত্বারোপ করা হয় না, মাহফিলে উপস্থিত হওয়ার কারণে অন্য জরুরী ইবাদত আদায়ে অসুবিধা হয় না, সাওয়াব লাভের আশা এবং সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মহব্বতের উদ্দেশ্য নিয়ে এ মাহফিল আয়োজিত হয় এবং অন্যান্য যাবতীয় দোষত্রæটি থেকে এ মাহফিল সম্পূর্ণ মুক্ত থাকে। সাথে সাথে আদতে শরীয়ত বিরোধী নয় এমন সব কার্যকলাপ, যেমন- শিন্নি বিতরণ, আতর ব্যবহার, বসার জন্য বিছানা বিছানো ইত্যাদিও পালন করা হয়। তবে তথায় অনুমতি দেয়া যাবে। (ইসলাহুর রুছুল ১০৮-১০৯ পৃঃ, মাজালিছে হাকিমুল উম্মত ১৬০-১৬২ পৃঃ)
উপরি উল্লিখিত বর্ণনা দ্বারা প্রমাণিত হলো যে, হযরত মাওলানা আশরাফ আলী থানভী সাহেব মীলাদ শরীফ জাইয বরং সুন্নাত বলে মত পোষণ করেছেন। যদি তাতে আল্লাহর মর্জির খেলাফ এবং শরীয়ত বিরোধী কোন কাজ না হয়। তিনি আরো বলেছেন যে, সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ) থেকে মীলাদ শরীফের এ পদ্ধতি পাওয়া যায়। তাছাড়া মুহাদ্দিসীনে কেরাম একে আজ পর্যন্ত যথারীতি প্রচলিত রেখেছেন এবং কিয়ামত পর্যন্ত এ বিশুদ্ধ নিয়ম অনুসৃত হয়ে থাকবে।
আলহামদুল্লিাহ! আমরা নিশ্চিত যে, আমাদের বাংলাদেশের কোন মীলাদ মাহফিলে আল্লাহর মর্জির খেলাফ কোন কাজ করা হয় না। বরং বাংলাদেশের মীলাদ শরীফে সর্বপ্রথম তিলাওয়াতে কালাম পাক করা হয়, তারপর দুরূদ শরীফ, না’তে রাসুল, তাওয়াল্লদ শরীফ তথা রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্ম বৃত্তান্ত আলোচনা করা হয়। তৎপর কিয়াম করে মুনাজাতান্তে শিন্নি বা তাবারুক বিতরণ করতঃ অনুষ্ঠানের কাজ শেষ করা হয়।
পাঠক লক্ষ্য করুন যে, আমাদের বাংলাদেশের মীলাদ মাহফিলে কোন কাজটি শরীয়ত বিরোধী হলো? ইনশাল্লাহু তাআলা কেউই বলতে পারবে না যে, অমুক কাজটি গর্হিত হয়েছে। অতএব, বাংলাদেশের প্রচলিত মীলাদ শরীফ ভেজালমুক্ত এবং সুন্নাত মোতাবেক হয়ে থাকে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (2)
মোহাম্মদ আলী ৩০ এপ্রিল, ২০২০, ১:০০ এএম says : 0
মারহাবা চমৎকার দলিল। আরো ভাল হতো
Total Reply(0)
মোহাম্মদ আলী ৩০ এপ্রিল, ২০২০, ১:০২ এএম says : 1
মারহাবা চমৎকার দলিল। আরো ভাল হতো যদি কিতাব গুলো ছবি দেওয়া হতো। আর এ লিখাগুলো ফেইসবুকে দেওয়া।
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন