বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মহিলা

নারী সাংবাদিকের দুরন্তপনার ১ দিন

প্রকাশের সময় : ২৯ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ধানের খেত, পাখি আর ভালবাসা অফুরান,
সর্বত্র ছড়ান যেন মাতাল করা অপূর্ব ঘ্রাণ।
বাংলার গ্রামের সবকিছুই অতি নয়নাভিরাম,
ফিরে যেতে চাই, নিয়ে আমার মনপ্রাণ।

কবির কল্পনার রাজ্যে প্রাণ খুঁজে পেল রাজধানী ঢাকার একদল নারী সাংবাদিক। কোলাহলমুখর, যান্ত্রিক আর যানজটের শহর ছেড়ে সভানেত্রী নাসিমুন হক মিনুর নেতৃত্বে দল বেধে ছুটে চলে নারী সাংবাদিকরা পিকনিকের উদ্দেশে। শহরের কনক্রিটের বালুময় আস্তর থেকে গ্রামের সবুজ নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক পরিবেশে সারাদিন হৈচৈ, নাচ-গানে মেতে থাকলো সোনারগাঁয়ের মদনপুরে সাংবাদিক বন্ধু অদিতি রহমানের বাগানবাড়িতে। প্রায় দেড় বছর পরে বাড়িতে যেয়ে বাবা সাংবাদিক হাবিবুর রহমান মিলনের অবদানের কথা বারবারই স্মরণ করছিলেন অদিতি। তার বাবা নিজ উদ্যোগে জায়গা কিনে দু’টো ঘর তুলেছিলেন মাঝে মাঝে নিরিবিলি বাস করার জন্য। নাচ-গান, খেলাধুলা, ছবি তোলায় ব্যস্ত সাংবাদিকদের দিনের অর্ধেক বেলায় কেটে গেল সেখানে। শিউলি, সোমা, সেবিকা কুপনের লটারির আয়োজন করলো। ঝুমা আপাকে টেনে নিয়ে নাচতে লাগলো সুইটি। নাসরিন নারীদের রোকেয়ার সাখওয়াতের সাথেই তুলনা করল। খাওয়া দাওয়া শেষ করে অনুপম শৈলীর স্থাপত্য সোনারগাঁ উপজেলার মনিপুর ইউনিয়নে পেরাবে আবস্থিত তাজমহল দেখতে রওনা করে সবাই। দিগন্ত বিস্তৃত অনাবিল সবুজের সমারোহ, নাম না জানা হাজারো পাখির কিচির মিচির করা বিকেলে সব মিলিয়ে এক স্বপ্নময় রাজ্যে বিচরণ করে নারী সাংবাদিকের দল। কখনও সেলফি, কখনও দলে দলে, কেউবা একা নানা রঙে ঢঙে চলে ছবি তোলার হিড়িক। স¤্রাট শাহজাহানের ভালবাসার নিদর্শন আগ্রার সেই সপ্তাশ্চর্যের একটি তাজমহলের ইতিহাসও হাতড়িয়ে চলে কেউ কেউ। তাজমহল ঘিরে নানান দোকান সাজানো সারি সারি। হোটেল, খাবার দোকান, শাড়ি, চুরি মালার দোকানে একবার করে উকি দিতে ভুল করেনি কয়েকজন। ইহিতা বোধ হয় শাড়ি কিনতে গিয়ে গাড়িই মিস করতো। কেউ কিনল মালা চুরি আবার কেউ না কিনতে পেরে আফসোস করেছে। অদিতি আপা সবাইকে আইসক্রিম খাওয়ালো। শিল্পির ঠা-া পানি চাই-ই। জানতে পারলাম প্রায় ৯ বিঘা জমির উপর তাজমহল নির্মাণ করেছেন একজন শিল্পপতি। বাংলার তাজমহলে মন কেড়েছে নারী সাংবাদিকদের। হৃদয়পটে প্রশান্তির ছোঁয়া নিয়ে ফিরে আসে আবারও নিজের ব্যস্ত শহরে। একটু একটু করে সবুজ গ্রামের মেঠো পথ হারিয়ে যেতে থাকে সুদূর অজানায়।
য় তাহমিনা বেগম

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন