শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মহিলা

আদিবাসীদের বর্ষবরণ

| প্রকাশের সময় : ১১ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

আবহমান বাংলায় বাঙালির চিরন্তন ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় উৎসবে অবগাহন করার দিবসটির নাম পহেলা বৈশাখ। চির নতুনের কেতন উড়িয়ে প্রতি প্রান্তে রোমাঞ্চকর রেশ জাগিয়ে বাঙালি মনে আনন্দের ধ্বনি তোলে এ দিবসটি। ব্যর্থ প্রাণের আবর্জনা আর জীর্ণ পুরাতনের গøানি মুছে নতুন আলোয় উদ্ভাসিত করতেই যেন বৈশাখ হাজির হয় আমাদের দ্বারে। শুধু বর্ষ-পরিক্রমার ইতিহাস নয়, বাঙালি জাতির স্বাতন্ত্র্য বাংলা ভাষা-সংস্কৃতি এবং আবহমান ঐতিহ্যের সঙ্গে অবিচ্ছিন্নভাবে সম্পৃক্ত এই দিন। 

বিভিন্ন ধর্ম ও জাতিভেদে পহেলা বৈশাখ উদযাপনে বেশ তাৎপর্য লক্ষ করা যায়। পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি আদিবাসীরা ঐতিহ্যবাহী সামাজিক ও ধর্মীয় উৎসব হিসেবে বাংলা নববর্ষকে পালন করে থাকে যা ‘বৈশাবি’ উৎসব নামে পরিচিত। বছরের শেষ দুদিন ও নতুন বছরের প্রথম দিনের এ উৎসবে পালন করা হয় নানা আচার-অনুষ্ঠান। উৎসব শুরুর দিন সকালে নদী বা ঝরনায় ফুল ভাসিয়ে গোসল করা এ প্রথাগত আচার। একে বলা হয় ‘গঙ্গাপূজা’। পহেলা বৈশাখের দুদিন আগে এ ‘গঙ্গাপূজা’ উৎসবটি শুরু হয়।
আদিবাসী সম্প্রদায়ের পহেলা বৈশাখ উদযাপন উৎসবের নাম ‘বিজু উৎসব’। এই দিনে মেয়েরা প্রচুর ফুল তুলে আনে, সেই ফুল দিয়ে মনের মাধুরী মিশিয়ে ঘরের সাজসজ্জা করে।
বিজু উৎসবের দিন গ্রামের ছেলেমেয়েরা নতুন জামাকাপড় পরে। পাচন নামে এক বিশেষ তরকারি রান্না করা হয় যা অতিথি থেকে শুরু করে সবাইকেই খেতে দেয়া হয়। অনেক ধরনের সবজি মিশ্রিত পাচন রান্না করা আদিবাসী সম্প্রদায়ের ঐতিহ্য। ওদের বিশ্বাস, এদিনে ভালো ভালো তরকারি দিয়ে আহার করলে সারা বছর ধরে ভালো ভালো খাওয়া দাওয়া করার সম্ভাবনা থাকে। এসব উৎসকে মেয়েদের ভ‚মিকাই প্রধান। সাধারণত মেয়েরাই আয়োজন করে এসব উৎসবের। এছাড়াও বর্ষবরণ উৎসবে উপজাতীয়দের মধ্যে শুরু হয় ঐতিহ্যবাহী পানি উৎসব। তরুণ-তরুণীরা একদল অন্যদলকে পনি ছুড়ে এ উৎসব পালন করে।
য় নাহার ইসলাম

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন