ফরিদপুর থেকে নাজিম বকাউল : ফরিদপুরে বিএনপির শীর্ষ নেতারা এখন জেল হাজতে। সঙ্কটে পড়েছে জেলায় আগামী দিনের দৈনন্দিন রাজনীতির দিক নির্দেশনা কে দিবে। রাজনীতিতে শূন্য হয়ে পড়েছে ফরিদপুর জেলা বিএনপি। হতাশায় ভুগছে তৃণমূল নেতাকর্মীরা। এখন তারা কি করবে। শীর্ষ ও মাঠে থাকা নেতারা এখন কারাবন্দী। গত নভেম্বর মাসে গ্রেপ্তার হন শীর্ষ নেতাদের মধ্যে ফরিদপুর জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক একে কিবরিয়া স্বপন, ফরিদপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি বেনজীর আহমেদ তাবরীজ, ফরিদপুর শহর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা মিরাজ এবং ২০ ফেব্রæয়ারী সর্বশেষ গ্রেপ্তার হন ২৫ জন শীর্ষ নেতা।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে রয়েছেন ফরিদপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট সৈয়দ মোদারেরস আলী ইছা, কোতয়ালী থানা বিএনপির সভাপতি রউফুন নবী, স্বেচ্ছাসেবকদলের আহŸায়ক সৈয়দ জুলফিকার হোসেন জুয়েল, জেলা বিএনপির অন্যতম সংগঠক মোঃ শোয়েব, সালথা উপজেলা বিএনপির সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান তালুকদার, নগরকান্দা উপজেলা বিএনপি সিনিয়র সহ-সভাপতি ও লস্করদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান বাবুল তালুকদারসহ ২৫ জন। ২০ ফেব্রæয়ারী কেন্দ্রীয় বিএনপির কর্মসূচি ঘোষণা অনুযায়ী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে জেলা বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠন শান্তিপূর্ণ ভাবে ফরিদপুর শহরের সুপার মার্কেট এলাকায় একটি মিছিল নিয়ে ফরিদপুরের প্রদান সড়ক মুজিব সড়কের দিকে যাচ্ছিল। এমন সময় পুলিশ অর্তকিত মিছিলের উপর বেধরক লাঠি চার্জ করে শতাধীক নেতাকর্মীসহ দুই সাংবাদিককে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে এবং প্রায় ২৫ জন শীর্ষ নেতাকে গ্রেপ্তার করে কোতয়ালী থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত বিএনপির সদস্যদের পরিবারের লোকেরা জানান, তাদের গরুর পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়েছে কিন্তু কোনো চিকিৎসা সেবা দেয় নাই এবং আমাদের কাউকেই তাদের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয় নাই। প্রতিটি নেতাকর্মীরা এখন গুরুতর আহত হয়ে পড়েছে তাদের দ্রæত চিকিৎসা দরকার।
পুলিশের নগ্ন হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তাদের মুক্তির দাবি করেছেন শহর বিএনপির সভাপতি রেজাউল ইসলাম জিয়া পরিষদের ফরিদপুর জেলা শাখার সভাপতি এ্যাডভোকেট আব্দুল হান্নান, জেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ জহিরুল হক শাহজাদা মিয়া ও বিএনপির অন্যতম সংগঠক সাব্বির আহমেদ খান। এদিকে জরুরী সভা করে দুই সাংবাদিককে আহত করার ঘটনায় ফরিদপুর প্রেসক্লাব নিন্দা ও ধিক্কার জানিয়ে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন