রাজধানীতে সমাবেশ করতে না দেওয়ার প্রতিবাদে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের বিএনপির পূর্বঘোষিত কালো পতাকা কর্মসূচি জলকামানের পানি ছুঁড়ে ছত্রভঙ্গ করেছে পুলিশ। এসময় পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এরই মধ্যে নারী-পুরুষসহ বিএনপির ৫৭ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পল্টন থানার ডিউটি অফিসার রেজভী আক্তার।
শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার আগে থেকেই কালো পতাকা নিয়ে নয়া পল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে উপস্থিত হতে থাকেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। সকাল ১০টার দিকে তারা পতাকা নিয়ে কার্যালয়ের মূল প্রবেশ পথের সামনের রাস্তায় বসে পড়েন। তারা খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন। এর আগে থেকেই কার্যালয়ের আশপাশে বিপুল পরিমাণ পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন ছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কার্যালয়ের সামনে ৩০ মিনিট বিক্ষোভ করার পর হঠাৎ পুলিশ বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের ওপর চড়াও হয়। এসময় নারীসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন। এক পর্যায়ে জলকামান থেকে রঙিন পানি ছুঁড়ে নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। আটক করে বেশ কয়েকজনকে।
সকাল ১১টার দিকে পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে ফের সড়কে এসে কালো পতাকা প্রদর্শন করতে চাইলে পুলিশ আবারও নেতাকর্মীদের ওপর চড়াও হয়। এসময় আরও কয়েকজনকে আটক করে পুলিশ। বিএনপির অভিযোগ, শতাধিক নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে।
নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অবস্থান করছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদীন ফারুকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের শতাধিক নেতা।
সকাল সোয়া ১১টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পুলিশের বাধার মুখে নয়া পল্টন কার্যালয়ের ভেতরে অবস্থান করছেন বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও সতর্ক অবস্থান নিয়েছেন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে।
এ বিষয়ে মতিঝিল জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মাজাহার জানান, ‘জনসাধারণের চলাফেরা নির্বিঘ্ন করতে, যানচলাচল স্বাভাবিক রাখতে কিছু বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের আটক করা হয়েছে। নিশ্চিয় অবগত আছেন, এর আগে বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ কোনও বাধা দেয়নি।’
পল্টন থানার ডিউটি অফিসার রেজভী আক্তার জানিয়েছেন, কমপক্ষে ৩০ জন নারী ও ২৭ জন পুরুষ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন