ইনকিলাব ডেস্ক : সউদী আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান বলেছেন, গত বছরের শেষ দিকে পরিচালিত দুর্নীতি বিরোধী অভিযান ‘শক থেরাপি’ যার লক্ষ্য ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়া দুর্নীতির মূলোৎপাটন করা।
গত মঙ্গলবার রাতে ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকায় প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে যুবরাজ বলেন, ‘আপনার একটি দেহ রয়েছে, যার সর্বত্র ছড়িয়ে রয়েছে ক্যান্সার। আপনার কেমো প্রয়োজন, কেমোর শক প্রয়োজন। নইলে ক্যান্সার আপনার দেহকে খেয়ে ফেলবে’। তিনি বলেন, ‘এ লুটপাট বন্ধ না করতে পারলে রাজতন্ত্র তার বাজেট লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারবে না’। পরিবর্তনের শেষ পদক্ষেপ হিসেবে গত সোমবার রাজকীয় ফরমানে সামরিক বাহিনী প্রধান, পদাতিক ও বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী প্রধানকে পরিবর্তন করা হয়েছে। এছাড়াও প্রতিরক্ষা সংস্কার পরিকল্পনা অনুমোদিত হয়েছে। সরকারের আমলাতন্ত্রও পুরোপুরি বাতিল করা হয়েছে।
যুবরাজ বলেন, তার বয়স্ক পিতা বাদশাহ সালমানের বরখাস্ত আদেশের লক্ষ্য ‘উচ্চশক্তি’ সম্পন্ন লোকদের স্থলাভিষিক্ত করা যাদের দিয়ে আধুনিকায়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে। ‘আমরা ঈমানদারদের নিয়ে কাজ করতে চাই’ -মার্কিন পত্রিকাটিকে বলেন যুবরাজ।
সামরিক বাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ে এসব রদবদল এমন সময় ঘটলো যখন সউদী আরবের ইয়েমেনে ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে অভিযানের তৃতীয় বছরপূর্তির মাত্র এক মাস বাকি রয়েছে।
২০১৫ সালের প্রথম দিকে তিনি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণের পর যুবরাজ মোহাম্মদ হন রাজতন্ত্রের প্রধান চালক এবং আঞ্চলিক ক্ষেত্রে আরো আক্রমাণাত্মক। বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের সামরিক শক্তি বিনয়োগ করেও সউদী আরব হুতিদের পরাভূত করতে পারেনি, বরং এমন এক সঙ্ঘাতের জন্ম হয়েছে যাকে জাতিসঙ্ঘ বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ সঙ্কট বলে অভিহিত করেছে। যুদ্ধের ব্যর্থতাগুলো সউদী সামরিক শক্তির সীমাবদ্ধতাকেই তুলে ধরেছে এবং সামরিক স্থাপনার সংস্কার সাধনের প্রয়োজনীয়তাকে অতি জরুরি করে তুলেছে। সূত্র : এএফপি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন