শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

বিভাগীয় ও জেলা শহরে সমাবেশ করবে বিএনপি

জাফর ইকবালের ওপর হামলা ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চক্রান্ত -মির্জা ফখরুল

| প্রকাশের সময় : ৪ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর জাফর ইকবালের ওপর হামলা ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চক্রান্ত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি এই সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা একটি চক্রান্ত বলে নিন্দা জানিয়েছেন। গতকাল (শনিবার) সন্ধ্যায় গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সিনিয়র নেতাদের সাথে বৈঠকের পর বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, তার (জাফর ইকবাল) ওপর হামলার ঘটনার আমরা তীব্র ভাষায় নিন্দা জানাচ্ছি। আমরা কখনোই এই ধরনের সন্ত্রাসের পক্ষে নই। আমরা মনে করি যে, এটা আরেকটা চক্রান্ত। যারা দেশে এই ধরণের ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায় এটা তাদেরই চক্রান্ত। খুলনার জনসভায় খালেদা জিয়ার সাজা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সম্পূর্ণ মিথ্যা তথ্য জালিয়াতি একটা কাগজের ওপর ভিত্তি করে শুধুমাত্র রাজনীতি থেকে দূরে সরানো জন্য, বিএনপিকে নির্বাচন থেকে দূরে সরিয়ে রাখার জন্য তাকে সাজা দিয়েছে। তারা জানেন যে, তাদের পক্ষে কখনো একটা সুষ্ঠু নির্বাচন তাদের পক্ষে নেয়া সম্ভব হবে না। সেজন্য এটা (সাজা) দিয়েছেন। এর আগে বিকাল সাড়ে ৪টায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যরা দলের ভাইস চেয়ারম্যান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্যবৃন্দ, যুগ্ম মহাসচিব ও সাংগঠনিক সম্পাদকদের যৈৗথ বৈঠক করেন। বৈঠকে খালেদা জিয়ার জামিন বিলম্ব ও চলমান কর্মসূচি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে উপস্থিত এক নেতা জানিয়েছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে রাজধানীসহ সারাদেশের সকল বিভাগীয় শহরে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এই পর্যায়ের কর্মসূচি শুরু হবে আগামী ১০ মার্চ বরিশালে সমাবেশের মধ্য দিয়ে। এর পরপরই ঢাকায় ১২ মার্চ। পরবর্তীতে খুলনা, চট্টগ্রাম, রাজশাহীর পর সবগুলো বিভাগীয় শহরেই সমাবেশ করা হবে। এসব সমাবেশে বিএনপি মহাসচিবসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন। তারা বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত মামলা এবং মিথ্যা, ভূয়া, জাল ও বানোয়াট তথ্যের ভিত্তিতে কারাগারে প্রেরণের বিষয়গুলো তুলে ধরবেন। একইসাথে বিএনপির চেয়ারপারসনের মুক্তি আন্দোলন এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আদায়ের জন্য জনগণকে সম্পৃক্ত করতে জনমত গঠন করবেন। বিভাগীয় শহরে সমাবেশের পর সব জেলাতেও সমাবেশের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দলের নেতারা। এসব সমাবেশে স্থায়ী কমিটির সদস্য, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, ভাইস-চেয়ারম্যান, যুগ্ম-মহাসচিবসহ কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা সফল করবেন। সমাবেশের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের কাছে তারা সার্বিক বিষয় তুলে ধরবেন।
বৈঠকের পর মির্জা ফখরুল বলেন, দেশনেত্রীর জামিন না হওয়ায় নেতৃবৃন্দ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। একই সঙ্গে নেত্রী মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন। পরবর্তি কর্মসূচি আমরা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এর মধ্যে বিভাগীয় শহরগুলোতে জনসমাবেশেসহ বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এসময় বৈঠকে স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান ও আমীর খসুর মাহমুদ চৌধুরী।
ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকৃ, শাহজাহান ওমর, বরকতউল্লাহ বুলু, মোহাম্মদ শাহজাহান, খন্দকার মাহবুব হোসেন, মীর নাসির, রুহুল আলম চৌধুরী, আমিনুল হক, আবদুল আউয়াল মিন্টু, এজেডএম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আজম খান, জয়নাল আবেদীন, নিতাই রায় চৌধুরী, গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী। চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্যদের মধ্যে উকিল আবদুস সাত্তার, এজে মোজাম্মদ আলী, লুৎফর রহমান খান আজাদ, সাবিহউদ্দিন আহমেদ, মনিরুল হক চৌধুরী, মশিউর রহমান, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, মাহবুবুর রহমান, জয়নুল আবদিন ফারুক, জয়নাল আবেদিন ভিপি, আবদুর রশিদ, জিয়াউর রহমান খান, তাজমেরী এস এ ইসলাম, সাহিদা রফিক, গোলাম আকবর খন্দকার, আবদুল হক, কবীর মুরাদ, ফজলুল রহমান, আতাউর রহমান ঢালী, সিরাজুল ইসলাম, সুকোমল বড়ুয়া, আবদুল কাইয়ুম, বিজন কান্তি সরকার, তৈমুর আলম খন্দকার, মান্নান তালুকদার, আব্দুল বায়েস ভুঁইয়া, ময়নুল ইসলাম শান্ত, মোহাম্মদ শাহজাদা মিয়া, এসএম ফজলুল হক, আবদুল কুদ্দুস, মামুন আহমেদ, ফরহাদ হালিম ডোনার, মুক্তাদির হোসেন, শামসুল আলম, কবি আবদুল হাই শিকদার। যুগ্ম মহাসচিব মাহবুবউদ্দিন খোকন, খায়রুল কবির খোকন, হারুনুর রশীদ, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, সাখাওয়াত হোসেন জীবন, বিলকিস জাহান শিরিন, শামা ওবায়েদ, প্রচার সম্পাদক শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানী ও সহ দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু উপস্থিত ছিলেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (2)
আব্বাস ৪ মার্চ, ২০১৮, ৪:৫৯ এএম says : 0
বিএনপির কর্মসূচিগুলোতে জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে।
Total Reply(0)
কামাল ৪ মার্চ, ২০১৮, ৫:০০ এএম says : 0
শুধু রাজনৈতিক বা দলীয় কর্মসূচি নয়, জনগণের জন্য কিছু কর্মসূচি হাতে নেন।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন