ইয়েমেন যুদ্ধের বিরুদ্ধে ডাউনিং স্ট্রিটের বাইরে কড়া প্রতিবাদ বিক্ষোভ। আর ১০ ডাউনিং স্ট্রিটের ভিতরে বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে’র সঙ্গে বৈঠক করছেন সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। বুধবার তিনি বৃটেনে পৌঁছে বাকিংহাম রাজপ্রাসাদে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের সঙ্গে মধ্যাহ্ন ভোজে মিলিত হন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ব্যবসা ও মানবাধিকার নিয়ে আলোচনা করেন। সেখানে তেরেসা মে ইয়েমেনের মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তবে ক্রাউন প্রিন্স যখন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন তখন হোয়াইটহলের বাইরে বিক্ষোভ করেন বহু মানুষ।
তাদের সঙ্গে যোগ দেন বৃটেনের বিরোধী লেবার দলের ছায়া আইনমন্ত্রী রিচার্ড বারগো, ছায়া বাণিজ্যমন্ত্রী লরা পিডকক। রিচার্ড বারগো এ সময় একটি ছবি প্রদর্শন করছিলেন। ঠিক ডাউনিং স্ট্রিটের বিপরীতে তার হাতে ধরা ওই ছবিতে একটি বার্তা ছিল। তাতে বলা হয়, বুধবার রাতে আমি, এমপি লরা পিডকক ও লেবার দলের অন্য এমপিরা ১০ ডাউনিং স্ট্রিটের সামনে বিক্ষোভে যোগ দিয়েছি। এই বিক্ষোভ সৌদি আরবের শাসক ও বোমা ক্রয়কারী প্রধানকে দেয়া লাল গালিচা সংবর্ধনা দেয়ার বিরুদ্ধে। বৃটিশ গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে, সৌদি আরবের রাজপরিবারকে আমন্ত্রণ জানানোর কারণে বৃটিশ সরকারের কড়া সমালোচনা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, সৌদি আরব যুদ্ধাপরাধ করছে। তাদের কারণে ইয়েমেনে লাখ লাখ মানুষ দুর্ভিক্ষের মুখে। বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে এবং ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের মতো করে পোশাক পরে বিক্ষোভ করেন মানবাধিকারকর্মীরা। তারা ওয়েস্টমিনস্টারে। এ সময় একটি লাল ডাবল-ডেকার বাস প্রতিবাদকারীদের নিয়ে পুরো ওয়েস্টমিনস্টার ঘুরতে থাকে। বিশাল দলবহর নিয়ে তিন দিনের বৃটেন সফরে রয়েছেন সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স। বুধবার তিনি বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে’র সঙ্গে মুখোমুখি আলোচনায় বসেন। এ সময় উভয় দেশের শীর্ষ স্থানীয় কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। ওই আলোচনায় আগামী বছরগুলোতে দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত ৬৫০০ কোটি পাউন্ডের টার্গেট ধরা হয়। প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত ইউকে-সৌদি আরব স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ কাউন্সিল বা বৃটেন-সৌদি আরব কৌশলগত অংশীদারিত্ব বিষয়ক পরিষদের বৈঠক। দু’দেশের সম্পর্ক উন্নত করার জন্য এখন থেকে প্রতি বছর এ বৈঠক হবে। বুধবার এ বৈঠকের আগে বাকিংহাম রাজপ্রাসাদে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ ও ডিউক অব ইয়র্কের সঙ্গে দুপুরের খাবার খান ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। ইয়েমেন যুদ্ধ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করলেও বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে বলেছেন, সৌদি আরবের সঙ্গে বৃটেনের সম্পর্ক ঐতিহাসিক। বিরোধী লেবার দল নেতা জেরেমি করবিন তেরেসা মের সরকারের সমালোচনা করলে তিনি এ কথা বলেন। জেরেমি করবিন তার দেশের সরকারের সমালোচনা করে বলেছেন, রিয়াদের কাছে অস্ত্র বিক্রি করে তার দেশের সরকার যুদ্ধাপরাধীর সঙ্গে সহযোগিতা করছে। কারণ, সৌদি আরব ইয়েমেনে মানবাধিকারের আইন লঙ্ঘন করছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন