প্রেসিডেন্ট মো.আবদুল হামিদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধু জীবনে কখনো অন্যায়-অবিচারের সাথে আপস করেননি। লোভ-লালসা বা ক্ষমতার মোহ কখনো তাঁকে লক্ষ্যচ্যুত করতে পারেনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকার রক্ষার আন্দোলনে অংশ নিয়ে নিজের ছাত্রত্ব হারিয়েছেন। কর্তৃপক্ষের সাথে সমঝোতা করে ও মুচলেকা দিয়ে অনেকে ছাত্রত্ব ফিরে পেলেও বঙ্গবন্ধু কখনো নীতির সাথে আপস করেননি। গতকাল সোমবার জয়দেবপুর শহীদ বরকত স্টেডিয়ামে ১৯ মার্চ স্বাধীনতার প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ দিবস উদযাপন কমিটি আয়োজিত প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ সংগ্রামে অংশগ্রহণকারী বীর ও শহীদদের স্মরণে ‘১৯মার্চ নাগরিক সংবর্ধনা’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রেসিডেন্ট বলেন, মার্চ আমাদের স্বাধীনতার মাস। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। তাঁরই আহŸানে ও নেতৃত্বে শুরু হয় সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ এবং দীর্ঘ নয় মাস সশস্ত্র যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত হয় আমাদের স্বাধীনতা। ১৯৭১ সালের ১৯ মার্চ একটি ঐতিহাসিক দিন। এ দিনে গাজীপুরবাসী হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সর্বপ্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলে। মুক্তিযুদ্ধ আকস্মিক কোন ঘটনা নয় বা হঠাৎ করে একদিনে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়নি। এর পেছনে রয়েছে পশ্চিম পাকিস্তানীদের দীর্ঘ ২৪ বছরের শোষণ-নির্যাতন আর বঞ্চনার ইতিহাস।
প্রেসিডেন্ট বলেন, বিগত দিনে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী শক্তি আমাদের মুক্তিসংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অনেক মিথ্যাচার করেছে। মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী প্রজন্মকে মুক্তিসংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের বিকৃত ইতিহাস শিক্ষা দেয়ার অপচেষ্টা হয়েছে। যারা ইতিহাস বিকৃত করেছে তারা সবকিছু জেনেশুনেই করেছে। তারা বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে ভয় পায় বলেও এসব করেছে এবং করছে। মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী শক্তি এখনো ৭১-এ তাদের পরাজয়ের গøানি ভুলতে পারেননি। তাই এসব অপশক্তি সুযোগ পেলেই মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে চায়। এরা দেশের স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও উন্নয়নের শত্রæ। দেশ ও জাতির স্বার্থে তাদের যেকোন ষড়যন্ত্র ও অপচেষ্টাকে রুখে দাঁড়াতে হবে। এজন্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে এবং গণতান্ত্রিক চিন্তা-চেতনার বিকাশ ঘটাতে হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্য বক্তব্য রাখেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক, গাজীপুর-২ আসনের এমপি জাহিদ আহসান রাসেল, গাজীপুর জেলা প্রশাসক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর, গাজীপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান, গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ ইকবাল হোসেন সবুজ, গাজীপুর মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি অ্যাড.আজমত উল্লা খান ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. জাহাঙ্গীর আলম। বক্তারা ১৯ মার্চকে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ দিবস হিসেবে জাতীয় পর্যায়ে পালনের দাবি জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন