সাহাবা ও তাবেয়ী যুগে ইখতিলাফ-বিরোধের কারণসমূহ:
প্রিয়নবী (স) ও খিলাফতে রাশেদার যুগে কিছুসংখ্যক সাহাবাদের মাঝে মতবিরোধ জন্ম নিয়েছিল। তবে এসব বিরোধ আকীদা-বিশ্বাসগত দূর্বলতা বা মহানবী (স) এর দাওয়াতি কার্যক্রমের সত্যতা বিষয়ক কোনো প্রকার সংশয় জনিত কারণে সৃষ্টি হয়নি। সেসব বিরোধের সূত্র ও উদ্দেশ্য ছিল, বিধি- বিধান অনুসন্ধান ও নির্ণয়ের ক্ষেত্রে প্রকৃত সত্য ও যথার্থ কি হবে? কোন্টি হবে? কোন্ প্রক্রিয়ায় আমলটি সম্পাদন করা বাঞ্চনীয় হবে? যে-কারণে তাঁদের সকল বিরোধ ‘পবিত্র কুরআন’ ও মহানবী (স) এর ‘সুন্নাহ’র-তাফসীর ব্যাখ্যা বুঝতে গিয়ে, আভিধানিক অর্থ ও উদ্দিষ্ট অর্থ কিংবা গবেষণাগত কারণে সংঘটিত হয়েছিল। এসব গবেষণাগত কারণের পেছনে অসৎ উদ্দেশ্য বা চিন্তা আদৌ ছিল না। যদিও মুনাফিক চক্র তাতে তেমন কোনে অসৎ সূত্র বের করতে কম চেষ্টা চালায়নি।
যা হোক, উক্ত নেক নিয়্যতের কারণে, প্রিয়নবী (স) এর জীবদ্দশায় তেমন কোনো সমস্যা তাঁর সামনে পেশ হওয়া মাত্রই বিরোধ শেষ হয়ে যেত, সমাধান স্পষ্ট হয়ে যেত। প্রিয়নবী (স) এর অনুপস্থিতি বা অবিদ্যমান অবস্থায়ও সংশ্লিষ্টদের মাঝে তেমন প্রশ্ন/সমস্যা দেখা দিলে তাঁদের কারও সমস্যা সম্পর্কিত নস্/দলিল জানা থাকলে এবং তিনি প্রমাণস্বরূপ বলে দিলে তাৎক্ষণিক সেখানেই মতবিরোধ শেষ হয়ে যেত। তাঁদের নির্ভেজাল ও নিষ্কলুষ আত্না যেখানে-যার কাছেই সত্য বিষয়-বিধানটি পেয়ে যেতেন তা কোনো প্রকার প্রশ্ন ব্যাতিরেকেই গ্রহণ করে নিতেন। যে-কারণে সাহাবা ও তাবেয়ী যুগে জ্ঞান-গবেষণাগত মতভেদ থাকা সত্তেও একে-অন্যের সঙ্গে পারস্পরিক প্রেম-ভালোবাসা, আত্নিক সম্পর্ক ও ঐক্য-সংহতির পরিবেশ বিরাজমান ছিল। সত্য ও পরিশুদ্ধির বাতাস প্রবহমান ছিল। প্রবৃত্তি ও কামনা-বাসনার আবর্জনা পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন হচ্ছিল এবং অন্তরগুলো পরস্পর মিলেমিশে অবস্থান করছিল।
গবেষক ইমামগণের মতভেদ ও তার শিষ্টাচার
ইজতিহাদী বা গবেষণাগত বিরোধ এর কারণসমূহ উদ্ভ‚ত পরিস্থিতি ও যুগ-সময়ের পরিবর্তন-বিবর্তনের কারণেও পরিবর্তিত হওয়া একটা স্বভাবজাত ব্যাপার। হযরত উসমান (রা) এর শাহাদাতের ঘটনার পর ইসলামী জগতে বিরাট ঝড় বয়ে গেছে। যার ফলশ্রুতিতে এমনকিছু ঘটনাবলি প্রকাশ পেয়েছে যা ইসলাম ধর্মের আভ্যন্তরে নতুন নতুন কিছু বিষয়কেও অন্তভূক্ত করেছে। অনেকক্ষেত্রে এমনও হয়েছে যে, প্রতিটি শহর ও প্রদেশের প্রত্যেক মুসলমানই ভ‚ল কিছুর অনুপ্রবেশ ও মনগড়া কিছু করার ( বোধ-বিশ্বাস বা আমলের ক্ষেত্রে) সন্দেহ থেকে বাঁচার লক্ষ্যে কেবল সেই সুন্নাত/হাদীস মোতাবেকই আমল চালিয়ে যেতেন যেটি তাদের কাছে পৌঁছাতো। আর এভাবে প্রাপ্ত হাদীস ও সুন্নাহের ভাব-ব্যাখ্যা ও বাস্তব অনুশীলন প্রশ্নে একাধিক অবস্থান বা প্রক্রিয়া পাওয়া যেত। যে-কারণে ব্যবহারিক বিধান-অনুশীলনে অঞ্চলভিত্তিক ইমামগণের ‘ফিকাহ’ বিধি-বিধান-সংশ্লিষ্ট ভিন্ন ভিন্ন ধারা ও প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠে। আবার এটাও মহান আল্লাহর একান্ত অনুগ্রহ যে, তিনি গবেষকদের ফিক্বহি বা গবেষণাগত মতভেদ/মতবিরোধকে বৈধতার সীমার মধ্যেই কেবল রেখেছেন, তা নয়; বরং তাতে যারা সঠিক বিধান বা সিদ্ধান্তে উপনীত হবেন, তাঁদের জন্য দ্বিগুণ প্রতিদান এবং যারা চেষ্টা-অনুসন্ধান করেও বেঠিক বা আপেক্ষিক ভুলে থেকে যাবেন তাদেরকে একগুণ প্রতিদান প্রদানের কথা খোদ-মহানবী (স) এর জবানী হাদীস শরীফের মাধ্যমে আমাদের বলে দিয়েছেন। ( সহীহ বুখারী মূল আরবী, খ-২,পৃ-১০৯২, মাকতাবা মোস্তাফাঈ, দেওবন্দ, ভারত )
আর ফকীহ ইমামগণ সৎ ও মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে শরীয়তের সঠিক বিধানটি নির্ণয় করার জন্য নিজের সকল জ্ঞানগত, বিদ্যাগত, মানসিক ও বুদ্ধিগত যোগ্যতা-অভিজ্ঞতা, মেধা, অধ্যাবসায়, শ্রম-সাধনা কাজে লাগিয়ে উক্ত হাদীসে বর্ণিত অসাধারণ কাজটিই আঞ্জাম দিয়ে গেছেন। তাই প্রতিটি দেশ/অঞ্চলের সত্যিকারের আলেমগণ উক্ত গবেষক ইমাম, ফকীহ-মুফতীগণকে মন ভরে শদ্ধা-সম্মান করে আসছেন। আর বিচারকগণও উক্ত গবেষণার সুবাদে নিজ মাযহাবের ইমাম ও মাযহাব অনুসরণের বাধ্য-বাধকতা এবং সাধারণ রীতির বাইরে কখনও প্রয়োজনে একজন গবেষকের বা একটি মাযহাবের গবেষণায় নিজেকে বন্দী না রেখে ব্যাপক জনস্বার্থে অন্য মুজতাহিদ বা অন্য মাযহাবের গবেষণাকে কাজে লাগিয়ে উপকৃত হয়েছেন। তা ছাড়া, সকল ইমাম ও মাযহাবের গবেষণার মূল উৎসই তো সেই একই কুরআন, সুন্নাহ, ইজমা, কিয়াস ইত্যাদি। তবে হ্যাঁ, তাঁরা কাছাকাছি দলীল-প্রমাণ বা ‘নস’ এর নিরীখে এবং স্থান-কাল পাত্রের বিবেচনায় নিজস্ব মত বা রায় বলতে, শুধু এটুকু চিহ্নিত করে দিয়েছেন যে,(“হাযা আহ্ওয়াতু”) “এ মতটি অধিক সতর্কতানির্ভর”; “(হাযা আহ্সানু”) “এ মতটি সর্বোত্তম”; (“হাযা ইয়াম্বাগী”)“এ মতটি গ্রহণ করা সমীচীন”, ইত্যাদি।
গবেষক ইমামগণের মতভেদের কয়েকটি উদাহরণ:
উক্ত মাযহাব প্রতিষ্ঠাতা ইমামগণের গবেষণাগত মতবিরোধের ক্ষেত্রে কেউ কেউ বলেছেন, সালাতে ফাতেহা বা সূরার শুরুতে প্রতিবারই ‘বিসমিল্লাহ’ পড়া চাই; কেউ বলেছেন, তেমনটি জরুরী নয় বা সুন্নাত নয়। পড়ার ক্ষেত্রে কেউ বলেছেন, সশব্দে পড়া চাই, কেউ বলেছেন, নিঃশব্দে পড়া চাই।
কেউ ফজর সালাতে ‘কুনূতে নাজিলা’ পাঠ করতেন, কেউ তা শুধু আপতকালিন পড়তেন, নিয়মিত নয়।
নাকের পলিপে রক্তঝরা প্রশ্নে এবং বমি করার পর, কেউ বলেছেন: নতুন উযু করতে হবে; কেউ বলেছেন: প্রয়োজন নেই।
স্ত্রীর গায়ে হাত লাগলেই বা পুরুষাঙ্গে হাত স্পর্শ্ব করলেই কেউ বলেছেন, উযু করা জরুরী; কেউ বলেছেন, শুধু তেমন স্পর্শ্বতেই উযু করা জরুরী হয় না।
‘আগুনে পাকানো কিছু খেলেই উযু করতে হবে’; কেউ বলেছেন, ‘না তেমনটি সঠিক নয়’, ইত্যাদি। এসব মতভেদ একান্তই ইবাদত-আমলকে সহীহভাবে আদায় করার নিমিত্তে সঠিক বিধানটি চিহ্নিত করার প্রয়োজনে মতবিরোধ মাত্র। জগত জীবনের কোনো লাভালাভ বা স্বার্থ এর ধারে-কাছে চিন্তাই করা যায় না। যে-কারণে শরীয়তের এসব মতভেদকে রহমত বলা হয়েছে, উম্মতের পক্ষে কল্যাণকর ও অতিরিক্ত দ্বিগুণ পূণ্যের ওয়াদা করা হয়েছে। তারপরও কি একজন জ্ঞানী গুণী; শিক্ষিত ও বিজ্ঞান মনস্ক মানুষ এমন বিরোধকে মন্দ বলতে পারে? কক্ষণও না।
গবেষক ইমামগণের পারস্পরিক মহব্বত ও সম্মানবোধের কয়েকটি উদাহরণ:
ইমাম আবূ হানীফা (র) ও ইমাম শাফেয়ী (র) নিজ গবেষণার যুগে মদীনার ইমামদের পিছনে সালাত আদায় করতেন। যদিও মদীনার ইমামগণ সশব্দে বা নিঃশব্দে কোনোভাবেই সালাতে বিস্মিল্লাহ’ পাঠ করা জরুরী মনে করতেন না।
ইমাম রশীদ মালেকী (র) একবার শিংগা লাগিয়ে রক্ত বের করিয়ে ইমামতি করলেন; ইমাম আবূ ইউসুফ (র) তাঁর পেছনে সালাত আদায় করলেন। অথচ তাঁর গবেষণা মতে শিংগা লাগানোতে উযু ভেঙ্গে যায়।
ইমাম আহমদ ইবন হাম্বল (র) এর গবেষণা মতে নাকে রক্তঝরা রোগের কারণে রক্ত নির্গত হলে উযু নষ্ট হয়ে যায়। একবার তাঁকে জনৈক ব্যক্তি প্রশ্ন করলেন। “কোনো ইমামের দেহ থেকে রক্ত নির্গত হলো, তিনি উযু করলেন না। এমতাবস্থায় তাঁর পিছনে সালাত আদায় সহীহ হবে। (উদ্দেশ্য হচ্ছে ইমাম মালেক (র) ও সাঈদ ইবনুল-মুসাইয়্যাব (র) এর প্রতি ইঙ্গিত করা)? তিনি জবাবে বললেন, ইমাম মালেক (র) ও সাঈদ ইবনুল-মুসাইয়্যেব (র) এর মতো বড় আলেমের পিছনে কিভাবে নামায না পড়ি? অর্থাৎ আমি নিজ গবেষণায় অটল থাকলেও অন্য গবেষক ইমামের অভিমতকেও শ্রদ্ধা করি। তাই তাঁর পরিবেশে গিয়ে তাঁকেই মান্য করি।
ইমাম শাফেয়ী (র) একবার ইমাম আ’জম আবূ হানীফা (র) এর কবরস্থানের কাছে গিয়ে ফজরের সালাত আদায় করলেন এবং ওই দিন তাতে ‘কুনূতে নাজেলা’পাঠ করলেন না। অথচ তাঁর মতে ফজরের সালাতে তা পাঠ করা ‘সুন্নাতে মুয়াক্কাদা’। বিষয়টির ব্যাপারে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জবাবে বললেন, এখন আমি তাঁর নিকটে অবস্থান করে তাঁর বিরোধিতা করি কিভাবে (হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগা: পৃ-৩৩৫)
একজনের ইন্তেকালের পরও আরেকজনের তাঁর প্রতি ও তাঁর গবেষণার প্রতি কত বিরল শ্রদ্ধাবোধ!
ইমাম মালেক (র) হাদীস শাস্ত্র ও ফিকহ্ বিষয়ে অপরিসীম সেবা ও সাধনা করেছেন এবং ‘মুয়াত্তা ইমাম মালেক’ নামক গুরুত্বপূর্ণ হাদীস বিষয়ক কিতাব লিপিবদ্ধ করেছেন। একদা খলীফা মানসূর গ্রন্থটির কয়েকটি কপি করে অন্যান্য শহরে পাঠিয়ে দেয়ার ইচ্ছে ব্যক্ত করলেন। যেন লোকজন একই ফিকহের অনুসারী হয়ে যায় এবং ব্যবহারিক বিধান পালনে আর দ্ব›দ্ব-বিরোধ না থাকে। ইমাম মালেক (র) বিষয়টি জানতে পেরে বলে দিলেন, “ তেমনটি করার প্রয়োজন নেই। কারণ, অন্যান্য শহরেও লোকজন পর্যন্ত প্রিয়নবী (স) এর বিভিন্ন হাদীস ও বহুমুখী বর্ণনা পৌঁছে গেছে এবং সেই অনুসারে নিজ নিজ অঞ্চলে লোকজন আমল করে যাচ্ছে। তারা যেসব হাদীস/বর্ণনা মোতাবেক আমল করে যাচ্ছে, সেভাবেই তাদের থাকতে দিন। আপনার এমন পদক্ষেপে মতবিরোধ আরও বরং বৃদ্ধি পাবে।” খলীফা মনসূর ইমাম মালেকের এমন বক্তব্য শুনে বললেন, “হে আবূ আব্দুল্লাহ! মহান আল্লাহ আপনাকে আরও কল্যাণের তাওফীক দিন।” ( আল ফিকরুল ইসলামী: খ-১, পৃ-৩৬৬। )
হযরত লায়েছ ইবন সা’দ এর চিঠি:
গবেষণা প্রয়োজনে মতবিরোধ সত্তেও আদব, সম্মান ও শ্রদ্ধাবোধ রক্ষায় আরেকটি উত্তম ও শ্রেষ্ঠ উদাহরণ হচ্ছে ওই চিঠি যা মিশরের সমকালীন ফিকহের ইমাম লায়েছ ইবন সা’দ (র) ইমাম মালেক (র) এর প্রতি পাঠিয়েছিলেন। ইমাম লায়েছ ইবন সা’দ (র) নিজ অঞ্চলে ইমাম আবূ হানীফা (র) এর গবেষণা/অভিমত অনুসারে ফাতওয়া ইস্যু করতেন। তিনি পরিপূর্ণ শিষ্টাচার ও সম্মানজনকভাবে ইমাম মালেক (র) এর কাছে বিরোধপুর্ণ মাছআলা-বিধানগুলো বিস্তারিত লিখলেন। তারপর ইমাম মালেক এর সম্পর্কে নিজ আবেদন-অনুভ‚তি এভাবে প্রকাশ করলেনঃ
“মহান আল্লাহ আপনাকে সর্বোত্তম কল্যাণ ও যোগ্যতার সঙ্গে অধিষ্ঠিত রাখুন! দীর্ঘদিন বাঁচিয়ে রাখুন! কেননা, তাতেই জনগণের কল্যাণ নিহিত। আপনি ইহকাল ত্যাগ করলে মুসলমানদের বিরাট ক্ষতি হয়ে যাবে। অনেক দূরে অবস্থান করেও আপনার সম্মান-মর্যাদা বিষয়ে সম্যক অবগত আছি। আপনাকে আমি এভাবেই সম্মান ও শীর্ষ মর্যাদার অধিকারী বলে জ্ঞান করি।”
ইমাম আবূ হানীফা (র) ও ইমাম মালেক (র):
ইমাম আবূ হানীফা (র) ও ইমাম মালেক (র) এতদুভয়ের ফিকহ বিষয়ক মাছআলা-বিধানে যথেষ্ট মতভেদ ছিল। তা সত্বেও তাঁরা উভয়ে পরস্পরের জ্ঞান, পান্ডিত্য ও প্রজ্ঞার প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন। কাজী আয়াদ্ব (র) ‘আল-মাদারিক’ গ্রন্থে বর্ণনা করেছেনঃ
“ইমাম লায়েছ ইবন সা’দ (র) একবার মদীনা শরীফে ইমাম মালেক (র) এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং বলেন, আমি দেখতে পেলাম ইমাম মালেক (র) নিজ কপাল থেকে ঘাম মুছতেছেন আর বলছেন, আমি ইমাম আবূ হানীফা (র) এর সঙ্গে বাক্যালাপ করে ঘর্মাক্ত হয়ে গেছি! হে মিশরী! তিনি বাস্তবিকই একজন বিজ্ঞ ফকীহ। তারপর আমি এক পর্যায়ে ইমাম আবূ হানীফা (র) এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাকে বললাম, ইমাম মালেক (র) আপনার সম্পর্কে অনেক উত্তম মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, সঠিক জবাব প্রদানে এবং পরিপূর্ণ অনুসন্ধানপূর্বক সমালোচনা ও ভালোমন্দ পার্থক্য-জ্ঞানে অভিজ্ঞ ব্যক্তি তাঁর মতো আর কাউকে আমি দেখিনি।” (চলবে)
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন