বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ব্যবসা বাণিজ্য

ওষুধ শিল্পে অগ্রগতি গর্ব করার মতো

বাপির বার্ষিক সাধারণ সভায় বাণিজ্যমন্ত্রী

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৯ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম

অভ্যন্তরীণ বাজার ও রপ্তানিতে লক্ষণীয় প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করে এগিয়ে যাচ্ছে - বাপি সভাপতি//
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, দেশের চাহিদার ৯৮ শতাংশ পূরণ করে বিশ্বের ১৪৫টি দেশে বাংলাদেশের উৎপাদিত মানসম্মত ওষুধ রফতানি হচ্ছে। বাংলাদেশের ওষুধশিল্পের অগ্রগতি এখন গর্ব করার মতো। এ শিল্প আরও এগিয়ে যাবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতি (বাপি) এর বার্ষিক সাধারণ সভা এবং বাংলাদেশ ওষুধ শিল্পের সম্ভাবনা ও প্রতিকূলতা শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন। গত মঙ্গলবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেল এই অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। স্বাস্থ্য সচিব সিরাজুল হক খান এবং ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মুস্তাফিজুর রহমান। তোফায়েল আহমেদ ওষুধ শিল্পের অগ্রগতি এবং জাতীয় রাজস্বে ওষুধ শিল্পের অবদানের ভূয়সী প্রশংসা করেন। বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতি (বাপি)’র সভাপতি ও সংসদ সদস্য নাজমুল হাসান পাপন সেমিনারের মূল বক্তব্য এবং ওষুধ শিল্পের উপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করেন।
নাজমুল হাসান পাপন বলেন, বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প অভ্যন্তরীণ বাজার ও বৈদেশিক রপ্তানী- উভয় ক্ষেত্রেই লক্ষণীয় প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করে এগিয়ে যাচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে। ওষুধ শিল্পের রপ্তানীর অপার সম্ভবনার জন্যই প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যে ওষুধ শিল্পকে ‘২০১৮ সালের সেরা পণ্য’ হিসেবে ঘোষণা করেছেন। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের পর্যায়ে উপনীত বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান স্বাস্থ্যসেবার চাহিদা সুনিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সদা প্রস্তুত রয়েছে।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক অনুমোদনপ্রাপ্ত শীর্ষস্থানীয় দেশীয় ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানীগুলো দেশের ওষুধের চাহিদার শতকরা ৯৭ ভাগ পূরণ করে থাকে। এরমধ্যে একটি প্রতিষ্ঠান সুদূর আমেরিকাতেও ওষুধ রপ্তানী করছে।
নাজমুল হাসান বলেন, দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলো সুলভমূল্যে ওষুধ বাজারজাত করার কারণেই উচ্চমূল্যে বিদেশী ওষুধ আমদানী করার প্রয়োজন পড়ছে না। তখন এই ওষুধের খরচ ৮ গুন বেড়ে যেত যা জাতীয় রিজার্ভ এর উপর বোঝা স্বরূপ। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে এপিআই পার্ক বাস্তবায়নের দ্রুত অগ্রগতির জন্য ধন্যবাদ জানান।
একই সাথে তিনি তুলে ধরেন যে, বর্তমানে বিভিন্ন শিল্পের ক্ষেত্রে রপ্তানীর উপর আর্থিক প্রণোদনার ব্যবস্থা রয়েছে কিন্তু ওষুধ শিল্পের ক্ষেত্রে আর্থিক প্রণোদনা শুধুমাত্র ওষুধের কাঁচামাল (এপিআই) রপ্তানীর ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ। যেহেতু বাংলাদেশের ওষুধ শিল্প প্রধানত: উৎপাদিত পণ্য তথা ওষুধ রপ্তানীর উপরেই নির্ভরশীল। তাই নাজমুল হাসান ওষুধ শিল্পের ক্ষেত্রেও উৎপাদিত পণ্য রপ্তানীর উপর আর্থিক প্রণোদনা প্রদানের জন্য জোড়ালো দাবি জানান। উল্লেখ্য, দেশের ওষুধ প্রস্তুতকারকদের সার্বিক উন্নয়নের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতি (বাপি) ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন