লক্ষীপুরের রায়পুর পৌরবাসী নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত। নাগরিক সুবিধা এখন হিমাগারে। পৌর শহর ছাড়াও শহরের অদূরে রাস্তা-ঘাট, যান এবং জনচলাচলের অযোগ্য। সড়ক গুলোতে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি এবং ভেঙে যাওয়া সড়ক কখন কবে নাগাদ সংষ্কার হবে তার জবাব মেলেনি পৌর পিতার কাছে। পৌর পিতার সাথে একাধিক বার পৌর সমস্যা নিয়ে সরাসরি কথা হলেও ঘুম ভাঙেনি কুম্ভকর্ণের। এ নিয়ে একাধিকবার জাতীয় দৈনিক ও স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হলেও পৌর পিতার যেন নিরব-নিথর এবং নিস্তব্ধ; বর্ষা মৌসুমে সামান্য বৃষ্টিতে সৃষ্ট গর্তে পানি জমে যানসহ পথচারীদের চলাচল ব্যহত হচ্ছে। পৌর পিতা এসব দেখেও কী না দেখার ভান করছেন? এ প্রশ্ন পৌরবাসীর।
অপরিকল্পিত ভাবে ড্রেনেজ নির্মাণের ফলে ড্রেন দিয়ে পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না। পানি নিষ্কাশনের স্থানে ময়লা আবর্জনা জমে পানি গুলো সড়কের ওপর গড়াগড়ি করে। কয়েক ঘন্টায়ও পানি সরছে না। আবর্জনা মুক্ত পানিতে মশাসহ বিভিন্ন রোগের জীবাণু সৃষ্টি হচ্ছে। সড়কের ওপর ডাস্টবিনের সু-ব্যবস্থা না থাকায় ময়লা আবর্জনা স্ত‚প জমে থাকতে দেখা যাচ্ছে। মানুষ নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। সড়ক বাতিগুলোর অধিকাংশই অকেজো। বাসা-বাড়িতে সাপ্লাই’র পানি (বেশির ভাগ) না থাকায় জনজীবন বিপর্যস্ত হচ্ছে। শহর ও শহরের বাইরে গণশৌচাগার থাকলেও তা অকেজো হয়ে পড়েছে। ধুলোর শহরে পরিণত হয়েছে। ফুটপাত এর অধিকাংশ ¯øাব ভেঙে যাওয়ায় হরহামেশাই দুর্ঘটনা ঘটছে। হোটেল-রেস্তোরার খাবার ময়লা-আবর্জনায় সয়লাব। সড়কে অবৈধ যান চলাচল করায় সাধারণের ভোগান্তি চরমে।
অবশ্য ইতোমধ্যে রায়পুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিল্পী রাণী রায় ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে এসব দোকানে বারবার অভিযান চালিয়ে জরিমানা করেছেন। এছাড়া রায়পুর থানা পুলিশও সড়কে অবৈধ ও ফিটনেসবিহীন যান আটক করে মামলা দায়ের করেন। এ নিয়ে সরাসরি এ প্রতিবেদক মেয়র হাজী ইসমাইল খোকনের সাথে উল্লিখিত বিষয়ে একাধিকবার কথা হলেও তিনি করবেন এবং সহসায়ই এর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন