পটুয়াখালীর বাউফল পৌরসভাসহ পার্শ্ববর্তী ৬টি ইউনিয়নের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র ভরসা আলগী নদী। এর শাখা খালের একাধিক পয়েন্টে নিয়ম বহির্ভূতভাবে বাঁধ দিয়ে সেতু নির্মাণের কারণে সীমাহীন দুর্ভোগের কবলে পড়েছেন এলাকাবাসী।
শুধু তাই নয় দীর্ঘ মেয়াদী বাঁধ দেয়ার কারণে হুমকির মুখে পড়েছে আলগী নদীর অস্তিত্ব। পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ময়লা আবর্জনা জমে ছড়িয়ে পড়ছে উৎকট গন্ধ। নদীটি মশা, মাছির প্রজনন ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে।
এর ফলে পৌর শহরে মশা, মাছির উপদ্রব বেড়েছে। পরিবেশ বিপর্যয়ের পাশাপাশি প্রতিনিয়ত আবর্জনা জমে নদীটির নাব্যতা হারিয়ে যাচ্ছে। এদিকে, পানি প্রবাহ বন্ধ হওয়ায় স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী নতুন করে আলগী নদীর তীর দখলে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন।
বাউফল পৌরসভাসহ ৬টি ইউনিয়নের মানুষের জীবন ঘনিষ্ঠ এই নদীতে বাঁধ দিয়ে সেতু নির্মাণের ফলে চরম হুমকির মুখে পড়েছে জীব বৈচিত্র ও ফসল উৎপাদন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে ইঞ্জিনিয়ার ফারুক তালুকদার মহিলা কলেজ সংলগ্ন সেতু, বাংলা বাজার সেতু ও ভূমি অফিস সংলগ্ন সেতু নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেয় বাউফল পৌর ও এলজিইডি র্কতৃপক্ষ। টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর নির্মাতারা আলগী নদীর একাধিক পয়েন্টে বাঁধ নির্মাণ করেন। আর বাঁধ দেয়ার পর থেকেই তৈরি হয়েছে বিপত্তি।
নিয়মানুযায়ী প্রবাহমান নদীতে বাঁধ দিয়ে এভাবে সেতু করার বিধান নেই। কিন্তু পৌর কর্তৃপক্ষের নাকের ডগায় এভাবে নদীতে বাঁধ দিয়ে সেতু নির্মাণের কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পৌরবাসী। দীর্ঘদিন ধরে এভাবে বাঁধ দিয়ে নদীটির পানি প্রবাহ বন্ধ করে রাখলেও এ বিষয়ে কোন প্রকার ব্যবস্থা নেয়নি পৌরসভা কর্তৃপক্ষ।
বাউফল বাজারের ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি সাখায়াত হোসেন সখা বলেন, নদীতে বাঁধ দেয়ার ফলে নৌকা ও ট্রলারযোগে পণ্য পরিবহন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। এছাড়াও বর্জ্য আবর্জনা পঁচে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে পৌর শহরে। বর্তমানে নদীটি এখন মশা মাছির প্রজনন ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে।
এ বিষয়ে জানার জন্য বাউফল পৌর সভার মেয়র ও পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হক জুয়েলকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে বাউফল পৌরসভার প্রকৌশলী আতিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, বাঁধ অপসারণের জন্য সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে শিগগিরই চিঠি দেয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন