আফতাব হোসেন, চাটমোহর (পাবনা) থেকে
পাবনার চাটমোহর পৌরবাসীরা এখন নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত। ভাঙাচোরা রাস্তা, ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকা, জলাবদ্ধতাসহ নানা সমস্যা বিরাজ করছে এই পৌরসভায়। পৌরসভার বাসাবাড়িতে ৩ বছর আগে পানি সংযোগ দেয়া হলেও আজ পর্যন্ত পানি সরবরাহ করা হয়নি। পর্যাপ্ত নালার ব্যবস্থা না থাকায় জলাবদ্ধতা নিত্যদিনের সঙ্গী হয়েছে। পৌরসভাটি ১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয়। ২০০৮ সালে উন্নীত করা হয় দ্বিতীয় শ্রেণীতে। এর লোকসংখ্যা প্রায় ১৮ হাজার। ১৮ কিলোমিটার সড়কের ১১ কিলোমিটারই কাঁচা। পানি নিষ্কাশনের জন্য ১৮ কিলোমিটার নালার মধ্যে মাত্র সাত কিলোমিটার পাকাকরণ করা হয়েছে। ১০টি ডাস্টবিন নির্মাণ করা হলেও অধিকাংশ ভেঙে গেছে। ৪০টি অস্থায়ী ড্রাম দেয়া হলেও সেগুলোর অধিকাংশ চুরি হয়ে গেছে। ২০১৪ সালের পানি সরবরাহের জন্য জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের অর্থায়নে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ৫টি পানির পাম্প বসানো হয়। কিন্তু সেগুলো চালুর ব্যবস্থা করা হয়নি। পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর প্রধান দফতর থেকে দোলং সরকারের মোড় পর্যন্ত এবং পুরাতন বাজার থেকে হাইস্কুল মোড় পর্যন্ত তিন কিলোমিটার রাস্তার অধিকাংশ স্থানে পিচ উঠে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এসব গর্তে পানি জমে জনদুর্ভোগ বেড়ে গেছে। চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান গেটের সামনে গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় হাসপাতালে ঢুকতে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। পর্যাপ্ত পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় বিভিন্ন মহলের বাসিন্দাদের কাঁদা-পানি মাড়িয়ে চলাচল করতে হয়। ডাস্টবিনের অভাবে ময়লা-আবর্জনা জমছে যেখানে-সেখানে। পৌরবাসী জানান, পৌরসভার রাস্তাগুলো চলাচলের অনুপযোগী এগুলো দ্রুত সংস্কার করা দরকারসহ অন্যান্য সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে তা দ্রুত উত্তরণের জন্য পৌরবাসী আবেদন জানাচ্ছেন। পৌর মেয়র মির্জা রেজাউল করিম দুলাল জানান, পৌর এলাকার প্রধান সড়কটি দীর্ঘদিন সওজ বিভাগের তত্ত্বাবধানে ছিল। সম্প্রতি পৌরসভার তত্ত্বাবধানে আসায় তা প্রকল্প দেয়া হয়েছে। নতুন নালা, ডাস্টবিন নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন