বাসের চাপায় হাত হারানো কলেজছাত্র রাজীব হোসেনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। দুর্ঘটনার পর তার মাথার খুলিতে ফাটল ধরেছে। চোখের পেছনে মস্তিষ্কে পানি ও রক্ত জমেছে।
রাজীবকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের সাধারণ ওয়ার্ড থেকে নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) স্থানান্তর করা হয়েছে। তার চিকিৎসার জন্য ৭ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
তবে রাজীবের স্বজনরা উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে পাঠানোর দাবি জানিয়েছেন। তার খালা জাহানারা বেগম বলেন, রাজীবের অবস্থা অপরিবর্তনীয়। আমার মন ভালো লাগছে না। তাকে দেশের বাইরে নিয়ে চিকিৎসা করাতে পারলে ভালো হতো।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাজীবের অবস্থা এখনও আশঙ্কামুক্ত নয় বলে জানান কর্তব্যরত চিকিৎসক। রাজীবের চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান ও ঢামেকের অর্থোপেডিক্স বিভাগের অধ্যাপক ডা. শামসুজ্জামান বলেন, চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী রাজীবকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে। সে নিজে শ্বাস নিতে পারছে। অক্সিজেন লাগানো রয়েছে। অবস্থার অবনতি হলে যেন সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেয়া যায় সে জন্যই আইসিইউতে রাখা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘সাত সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। আমরা তার সিটি স্ক্যানের পরীক্ষা দিয়েছিলাম। ওই ফলাফলে দেখা গেছে তার মাথায় আঘাত রয়েছে। দুর্ঘটনার পর তার মাথার খুলিতে ফাটল ধরেছে। চোখের পেছনে মস্তিষ্কে পানি ও রক্ত জমেছে। এজন্য ওষুধ দেয়া হয়েছে। যদি এতে না সারে তাহলে অপারেশন করতে হবে। আপাতত তার অবস্থা স্থিতিশীল আছে। তাকে উন্নতমানের অ্যান্টিবায়োটিক দেয়া হয়েছে।’ জানা গেছে, ১০ বছর আগে মা ও ৮ বছর আগে বাবা হারান রাজীব। এতিম দুই ভাইকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালী বাউফল থেকে চলে আসেন ঢাকায়। ঠাঁই মেলে খালা জাহানারা বেগমের কাছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন