সউদী আরবে স্ত্রীদের মোবাইল ফোনের উপর স্বামীদের গোয়েন্দাগিরি বেআইনি ঘোষণা করা হয়েছে। কেউ তা করলে সেটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। সাইবারক্রাইম রোধে প্রণীত ্একটি ব্যাপক ভিত্তিক নতুন আইনে এ কথা বলা হয়েছে।
এ সপ্তাহে সউদী আন্তর্জাতিক যোগাযোগ কেন্দ্র ইংরেজি ভাষায় প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলে, সউদী আরবে বিবাহিত ব্যক্তিদের তাদের স্ত্রীদের উপর গোয়েন্দাগিরির পরিকল্পনার বিষয় দু’বার ভাবা উচিত। কারণ, এ ধরনের ঘটনায় ৫ লাখ রিয়াল (৯৫ হাজার ডলার) জরিমানার সাথে এক বছরের জেল হলে পারে।
রক্ষণশীল সউদী আরবের জনসংখ্যার প্রায় ৭০ শতাংশের বয়স ৩০ বছরের নিচে। বিশে^র শীর্ষ মোবাইল ফোন ও সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারীদের মধ্যে তারা অন্যতম।
বিবৃতিতে বলা হয়, ব্ল্যাকমেইল, টাকা আত্মসাৎ ও মানহানি থেকে নাগরিকদের রক্ষা, পাশাপাশি ব্যক্তি ও সমাজের নৈতিকতার সুরক্ষা এবং গোপনীয়তা রক্ষা করা নতুন আইনের লক্ষ্য।
মানবাধিকার গ্রæপগুলো সউদী আরবে অব্যাহত ভাবে মত প্রকাশ ও কথা বলার স্বাধীনতার রেকর্ডের সমালোচনা করে আসছে। ২০১৪ সালে ভিন্নমত বিরোধী আইন প্রণীত হয়েছে যা সামাজিক মাধ্যমে শাসক পরিবর্তনের আহবানসহ রাষ্ট্রকে হেয় করার মত কাজকে সম্ভাব্য সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বলে আখ্যায়িত করা হয়। এ আইন নিরাপত্তা বিভাগকে ফোন কল ও ইন্টারনেট ব্যবহার ট্র্যাক করার একচেটিয়া ক্ষমতা প্রদান করে।
গত বছর সরকার সন্দেহজনক সামাজিক মাধ্যম কর্মকান্ডকে কর্তৃপক্ষের কাছে জানানোর জন্য সাধারণ সউদী নাগরিকদের প্রতি আহবান জানায়।
সউদী বাদশাহ সালমান তার ছেলে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের অনুরোধে দেশের কিছু রক্ষণশীল আইন উদারীকরণের জন্য সাম্প্রতিক মাসগুলোতে কিছু শাহী ফরমান জারি করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে জুন থেকে সউদী মহিলাদের গাড়ি চালনার অনুমতি প্রদান ও বহুল সমালোচিত ধর্মীয় পুলিশের ক্ষমতা খর্ব।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন