চট্টগ্রামের বোয়ালখালী সাব-রেজিস্ট্রারকে অসম্পন্ন ও অস্পষ্ট তথ্য সম্বলিত তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ায় আদালত তলব করেছেন। ভূয়া দাতা ও ক্রেতা সেজে অবৈধ ভাবে জাল দলিল সৃজন ও জালিয়াতির অভিযোগ জেলা আওয়ামীলীগ নেতাসহ জালিয়াতচক্রে জড়িত ৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলার স্বচ্ছ তদন্ত পূর্বক বিস্তারিত প্রতিবেদন দেয়ার লক্ষ্যে গত ২৪ ডিসেম্বর ১৭ইং তারিখে স্বারক নং ৮৩৯/১৭ মূলে আদালত নির্দেশ দিয়েছিলেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট’র আদালতে গত ১৯ মার্চ-১৮ইং তারিখে বোয়ালখালী সাব-রেজিস্ট্রারের দাখিলীয় প্রতিবেদন গ্রহণযোগ্য না হওয়ায় স্ব-শরীরে হাজির হয়ে আগামী ৩০এপ্রিল ব্যাখ্যাসহ সু-স্পষ্ট বক্তব্য প্রধানের নির্দেশ দেন। গত ২৯ মার্চ ২০১৮ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্র্যাট’র আদালত এ আদেশ দেন।
জানা যায়, উপজেলায় ভূমি অফিস ও সাব-রেজিস্ট্রার অফিসকে ঘিরে দীর্ঘদিন ধরে একটি সংঘবদ্ধ শক্তিশালী জালিয়াতচক্র গড়ে উঠে। জালিয়াতচক্রটি জেলা-উপজেলার সরকার দলীয় কিছু নেতার সহযোগীতায় স্থানীয় এক ব্যাক্তিকে ভূয়া দাতা ও প্রবাসীর স্ত্রীকে ক্রেতা সাজিয়ে সংশ্লিষ্ট এ জায়গাটির ভূয়া রেজিস্ট্রি সম্পন্ন করে। এরপর চক্রটি তা অবৈধ দখলে নেয়ার চেষ্টা করলে জায়গার প্রকৃত মালিকের নজরে আসে। এরপর জালিয়াতচক্রটির বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের জেলা ও দায়রা জজ আদালতে স্পেশাল মামলা নং-৪২/১৫ দায়ের করেন। এ মামলায় কথিত দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগ নেতা শাহ নেওয়াজ হায়দার শাহীনকে শনাক্তকারী হিসেবে ২নং আসামীসহ ৪জনকে বিবাদী করা হয়। এতে আরো ১ জনকে ১নং মোকাবেলা বিবাদী ও ২ জনকে দ্বিতীয়পক্ষ মোকাবেলা বিবাদী করা হয়েছে। বোয়ালখালী সাব-রেজিষ্টারকে এ বিষয়ে তদন্ত প‚র্বক প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য আদেশ দেন অদালত। এ তদন্ত প্রতিবেদন সু-স্পষ্ট না হওয়ায় স্ব-শরীরে আদালতে হাজির হয়ে প্রতিবেদনের ব্যাখ্যা দেয়ার আদেশ দেন অমাননীয় আদালত। বোয়ালখালী সাব রেজিষ্টার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আদালতে বিচারাধীন বিষয়ে আমার কোন বক্তব্য নেই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন