সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার হাসানুজ্জামানের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ভূমি রেজিস্ট্রি দলিলে যত স্বাক্ষর করবেন, সেই হারেই অতিরিক্ত টাকা আদায় করবেন। আবার দলিল অনুপাতে নির্ধারণ রয়েছে ভিন্ন দর। তার নানা দুর্নীতি ও অনিয়ম এখন সবারই জানা। তিনি যেভাবে টাকা চাইবেন, সে ভাবেই টাকা না পেলে কাজ করেন না বলে জানা যায়। এবং তার দুর্নীতির সহযোগীতা করেন বর্তমান দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক তারিকুল ইসলাম লেবু এবং বেলকুচি উপজেলা দলিল লেখক সমিতির সাবেক সভাপতি মতিয়ার রহমান লাভলু অন্যতম। বিনিময়ে বিভিন্ন সুবিধা নিয়ে থাকেন সাবরেজিস্টার হাসানুজ্জামানের কাছ থেকে।

নাম না প্রকাশে একাধিক দলিল লেখক বলেন, আমাদের দলিল লেখক সমিতির পদে থাকা দুই চার জন আছেন যারা নিজ সুবিধা ভোগের কারণে সাব-রেজিস্টারকে নানা সহযোগিতা ও সাহস যুগিয়ে থাকেন, আর এই সাহসে টাকার নেশায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন হাসানুজ্জামান। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বেলকুচির সাধারণ মানুষ।

জমি রেজিস্ট্রি বাবদ সাব রেজিস্ট্রার হাসানুজ্জামানের বেধে দেয়া নির্ধারিত অংকের টাকা না পেলে দলিলে স্বাক্ষর করেন না। তাই উপায় না বুঝে বাধ্য হয়েই অতিরিক্ত টাকা দিয়ে দলিল সম্প্রদান করতে হয়।
দলিল রেজিস্ট্রিকারী ভূমি মালিকরা দুপুর ১টার মধ্যে না আসলে ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা হারে অতিরিক্ত ফি নিয়ে থাকেন।

শুধু কি তাই, বাড়তি টাকা আয় হলে কাজের নির্ধারিত সময় গড়িয়ে রাত সাতটা থেকে আটটা নাগাদ অফিস করেন বলে জানা যায়। দলিল লেখক লুৎফর রহমান হিটলার, আমিনুল ইসলাম, সাইদুল মল্লিক বলেন, জেলার ভেতরে কমিশনে দলিল করলে ২৫ হাজার টাকা জেলার বাহিরে ৬০ থেকে ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়ে থাকেন সাবরেজিস্টার।

এ বিষয়ে সাবরেজিস্টার হাসানুজ্জামান বলেন, টাকা নেওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা আমি কোন টাকা নেই না, কিছু দলিল লেখক আমার নাম ভাঙিয়ে টাকা নেয় বলে জেনেছি।

এ ব্যাপারে বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনিসুর রহমান জানান, নিয়ম মেনে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মস্থলে থাকতে হয়। সাব-রেজিস্ট্রার যদি অনিয়ম-দুর্নীতির সাথে জড়িত থাকে, অভিযোগ পেলে ক্ষতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।