নীলফামারী ডোমার শহরের প্রধান সড়কটি দীর্ঘদিন যাবত সংস্কার না করায় সামান্য বৃষ্টিতে চলাচলে অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ডোমার বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয় হতে ডোমার কলেজ গেট পর্যন্ত এক কিলোমিটার সড়কটিতে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় তা এখন ছোটখাট ডোবায় পরিনত হয়েছে। ফলে পথচারীসহ স্কুল কলেজগামী শিক্ষার্থীরা চরম সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। শুকনো মওসুমে সড়ক বিভাগের পক্ষ থেকে গর্তগুলো ইট বিছিয়ে সংস্কার করে উঁচু করায় এবং সড়কের পাশে কোন ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সেখানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে তা পথচারীদের চলাচলে আরো বেশী করে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন শতশত বাস, ট্রাক,মাইক্রো, অটোরিক্সা সহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে থাকে। রাস্তাটি চলাচলে অযোগ্য হওয়ায় পথচারীরা বিকল্প সড়ক ব্যবহার করছে। প্রধান এই সড়টির দু’ধারে ৩টি উচ্চ , ৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৫টি কিন্ডার গার্টেন স্কুল, ১টিফাজিল মাদ্রাসা ও দুটি কলেজ রয়েছে। এছাড়াও শহরের মাঝখানে রয়েছে বাসষ্ট্যান্ড। এসকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াতকারী শিক্ষার্থীরা এবং পথচারীরা প্রতিনিয়ত সমস্যার মুখোমুখী হচ্ছেন। সড়কটি দিয়ে চলতে গেলে সবাইকে কাদা মাটিতে একাকার হয়ে যেতে হচ্ছে।
ডোমার বাসষ্ট্যান্ড এলাকার বাসিন্দা সাবেক চেয়ারমান নুরল আমিন জানান, রাস্তায় একবার বের হলে কাদা মাটিতে শরীর ভরে যায় ফলে ঘরে ফিরে গোসল করতে হয়। রাস্তাটি দিয়ে হেঁটে চলাও দায় হয়ে পড়েছে। প্রধান সড়কের পাশে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সড়ক বিভাগের সংস্কার কাজ আরো বেশী করে সমস্যার সৃষ্টি করেছে বলে তিনি জানান ।একই এলাকার বাসিন্দা সাবেক শিক্ষক আবু সুফিয়ান জানান,সড়কের এ অবস্থার ফলে বাড়ী থেকে বের হওয়া দায় হয়ে পড়েছে।
নীলফামারী সড়ক বিভাগের প্রকৌশলী তন্ময় কুমার রায় জানান, আমাদের কাজ হচ্ছে সড়ক মেরামত করা। পৌরসভার দায়িত্ব ড্রেন নির্মান করা। যতদিন তারা ড্রেন নির্মান করছেনা ততদিন এ সমস্যা থাকবে। এ ব্যাপারে ডোমার পৌরসভার প্যানেল মেয়র এনায়েত হোসেন নয়ন জানান,বরাদ্দ না থাকায় এখন আমাদের পক্ষে ওই ড্রেন নির্মান করা সম্ভব নয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন