ঘাটাইল (টাঙ্গাইল) উপজেলা সংবাদদাতা
উন্নয়নবঞ্চিত দুর্দশাগ্রস্ত এক বিদ্যালয়ের নাম টাঙ্গাইলের ঘাটাইল পৌরসভাধীন মুকুল একাডেমি উচ্চ বিদ্যালয়। সামান্য বৃষ্টিতেই বিদ্যালয়ের মাঠে ও শ্রেণকক্ষে হাঁটু পানি জমে যায়। সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। বিঘিœত হয় পাঠদান। অথচ উপজেলা পরিষদের মাত্র ১৫০ গজ দূরে অবস্থিত বিদ্যালয়টির দুরাবস্থা দেখার কেউ নেই। খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, ঘাটাইল পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের অত্র এলাকাটিতে পানি নিষ্কাশনের জন্য সুপরিকল্পিত কোনো ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় এ এলাকার বিভিন্ন স্থানে সামান্য বৃষ্টিতে এ জলাবদ্ধতা দেখা দিচ্ছে। এতে পৌর এলাকার জনগণ চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। আর এই জলবদ্ধতার সবচেয়ে মারাত্মক দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে মুকুল একাডেমি উচ্চ বিদ্যালয়। সামান্য বৃষ্টিতেই বিদ্যালয়ের মাঠে ও শ্রেণীকক্ষে হাঁটু পানি জমে যায়। সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। বিঘিœত হয় পাঠদান। অন্যদিকে বিদ্যালয়টি ১৯৮৬ সালে প্রতিষ্ঠত হয়ে এলাকার শিক্ষা বিস্তারে বিশেষ অবদান রাখলেও প্রতিষ্ঠার ৩০ বছরেও বিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়নের তেমন কোনো ছোঁয়া লাগেনি। বিগত ২০১১-১২ অর্থবছরে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতর কর্তৃক তিন কক্ষবিশিষ্ট একটি একাডেমিক ভবন নির্মিত হয়। যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। দুটি টিনশেড ঘরে শিক্ষা কার্যক্রম চালানো হয়ে থাকে। টিনশেড ঘর দুটি অতি পুরাতন থাকায় ঘরের চালার টিনগুলো ছিদ্র হয়ে যাওয়াতে সামান্য বৃষ্টি হলেই যেমন স্কুলমাঠে হাঁটু পানি হয়ে যায় এবং বৃষ্টির সময় ঘরের চালা দিয়ে মেঝেতে পানি পড়ে শ্রেণীকক্ষ ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এতে শ্রেণীকক্ষে পাঠদান কার্যক্রম দারুণভাবে ব্যাহত হয়। জলাবদ্ধতা প্রসঙ্গে পৌর মেয়র শহীদুজ্জামান খান বলেন, সমস্যাটি দীর্ঘদিনের। আমি নবনির্বাচিত মেয়র হিসাবে মাত্র কয়েক দিন আগে দায়িত্ব পেয়েছি। সমস্যাটি সমাধানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। এব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খন্দকার তাহাজজত হোসেন জানান, শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশের জন্য জরুরি ভিত্তিতে জলাবদ্ধতা দূর করা এবং বিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রয়োজন। এজন্য তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন