বীমা কোম্পানির এজেন্ট হিসেবে নিয়োগ পেতে কোনো স্বীকৃত বোর্ডের অধীনে মাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। অর্থাৎ বীমা কোম্পানির এজেন্ট হতে কমপক্ষে এসএসসি পাস হতে হবে। বীমা কোম্পানির এজেন্ট নিয়োগ ও নিবন্ধন সংক্রান্ত খসড়া প্রবিধানমালাতে এমন শর্ত রেখেছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)।
‘বীমা এজেন্ট নিয়োগ ও নিবন্ধন প্রবিধানমালা-২০১৮’ নামের এর খসড়া প্রবিধানমালার ওপর বীমা সংশ্লিষ্টদের মতামতও চেয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। এ লক্ষ্যে সম্প্রতি খসড়া প্রবিধানমালা অর্থ মন্ত্রণালয়েল আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব, বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স ফোরামের সভাপতিসহ দেশে ব্যবসা করা সব জীবন ও সাধারণ বীমা কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) কাজে পাঠানো হয়েছে।
শিক্ষাগত যোগ্যতার পাশাপাশি স্থায়ী বীমা এজেন্ট হতে ন্যূনতম বীমা পলিসি সংগ্রহের শর্তও জুড়ে দেয়া হয়েছে খসড়া প্রবিধানমালাতে। জীবন বীমার স্থায়ী এজেন্ট হতে হলে আবেদকারীকে এক বছরে কমপক্ষে ১১টি নতুন পলিসি সংগ্রহ করতে হবে। অথবা নতুন প্রিমিয়াম সংগ্রহের বিপরীতে ২০ হাজার টাকা কমিশন আয় করতে হবে। সাধারণ বীমা কোম্পানির স্থায়ী এজেন্ট হতে হলে অস্থায়ী এজেন্ট হিসেবে কাজ করা অবস্থায় কমপক্ষে এক লাখ টাকার প্রিমিয়াম সংগ্রহ করতে হতে। এসব শর্তের পাশাপাশি আরও কিছু শর্ত রাখা হয়েছে খসড়া প্রবিধানমালাতে।
খসড়া প্রবিধান অনুযায়ী, বীমা এজেন্টের লাইসেন্সের জন্য এক হাজার টাকা ফি দিতে হবে। লাইসেন্স নবায়নের জন্য ফি দিতে হবে দেড় হাজার টাকা। অবশ্য শুধু ফি দিলে লাইসেন্স নবায়ন হবে না। জীবন বীমার ক্ষেত্রে প্রথম বর্ষ প্রিমিয়ামের ৬০ শতাংশ দ্বিতীয় বর্ষে নবায়ন পিমিয়াম হিসেবে সংগ্রহ করতে হবে। অর্থাৎ এজেন্ট যে নতুন বীমা পলিসি বিক্রি করবেন, পরবর্তীতে বছরে তার ৬০ শতাংশ নবায়ন প্রিমিয়াম বাবদ আদায় করতে হবে। পাশাপাশি আইডিআরএ’র অনুমোদিত প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান থেকে দুই বছর পরপর ৩৬ ঘণ্টার প্রশিক্ষণ সনদ জমা দিতে হবে। সাধারণ বীমার এজেন্টের লাইসেন্স নবায়নের ক্ষেত্রেও প্রশিক্ষণের বাধ্যবাধকতা রাখা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন