কোটা সংস্কার আন্দোলনের ঘটনায় করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানোর দুই ঘণ্টার মধ্যে আন্দোলনকারী তিন নেতাকে তুলে নেওয়ার পর তাঁদের চোখ বাঁধার বিষয়টি সত্য নয় বলে দাবি করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) যুগ্ম কমিশনার আবদুল বাতেন। তিনি বলেন, এটা ভুল বোঝাবুঝি।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন আবদুল বাতেন। ‘জাল ভিসায় চারজনকে গ্রেপ্তার’ নিয়ে ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। আবদুল বাতেন বলেন, আন্দোলন নিয়ে আমাদের কোনো অবস্থান নেই। উপাচার্যের বাসায় হামলার ঘটনায় করা মামলার তদন্ত করছি আমরা। এ জন্য একাধিক শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন সময়ে ডিবি কার্যালয়ে ডাকা হচ্ছে।যেহেতু হামলাকারীদের আমরা সরাসরি চিনি না, তাদের চেনার সহযোগিতার জন্য একাধিকবার ছাত্রদের এখানে ডেকে আনা হয়েছে। তদন্তের যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে।
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে যুগ্ম কমিশনার বলেন, ছাত্ররা যে দাবি করছেন, তাঁদের চোখ বেঁধে আনা হয়েছে, এটা ভুল বোঝাবুঝি। তাঁদের বিরুদ্ধে সরাসরি কোনো অভিযোগও নেই। তাঁরা মামলা প্রত্যাহার চেয়েছেন, কিন্তু সেটির সঙ্গে তাঁদের ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে আসার কোনো সম্পর্ক নেই। তাঁরা যে বক্তব্য দিয়েছেন, এর ব্যাখ্যা তাঁরাই দিতে পারবেন।
গতকাল সোমবার কোটা সংস্কার আন্দোলনের ঘটনায় দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানোর দুই ঘণ্টার মধ্যে আন্দোলনকারী তিন নেতাকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। তাঁদের চোখ বেঁধে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। দ্রæত ওই খবর ছড়িয়ে পড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। এতে শিক্ষার্থীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠলে এক ঘণ্টার মধ্যে তিন নেতাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁদের নেওয়া হয়েছিল।’ তবে ফিরে আসা তিন ছাত্রই সাংবাদিকদের জানান, তাঁদের গাড়িতে তুলে চোখ বেঁধে ফেলা হয়। যাদের তুলে নেওয়া হয় তাঁরা হলেন, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের তিন যুগ্ম আহŸায়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র নুরুল হক, এমবিএর (ব্যাংকিং অ্যান্ড ইনস্যুরেন্স বিভাগ) ছাত্র রাশেদ খান এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র ফারুক হাসান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন