সংসদ সদস্যদের (প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী ও এমপি) সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রচারণার সুযোগ দিলে সেটা স্পষ্টভাবে সংবিধানের লঙ্ঘন হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। এ ধরণের সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশন গ্রহণযোগ্যতা বিশ্বাসযোগ্যতা হারাবে। গতকাল এক স্মরণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, শুনলাম ইসি সংসদ সদস্যদের সিটি নির্বাচনে প্রচারণার সুযোগ দিতে পারে। এটা স্পষ্টভাবে সংবিধানের লঙ্ঘন হবে এবং নির্বাচনী আচারণবিধির লঙ্ঘন হবে। আমরা নির্বাচন কমিশনকে বলেছি, ইতিমধ্যে নির্বাচনী আচারণবিধি লঙ্ঘন হচ্ছে। কারণ বাংলাদেশের যে প্রান্তেই প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী ও এমপিরা নৌকায় ভোট চাইলে পক্ষান্তরে সিটি নির্বাচনে নৌকায় ভোট চাওয়ার শামিল। এই কারণে সিটি নির্বাচনের আগেপ প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী ও এমপিরা নৌকায় ভোট চাইতে পারেবন না। যদি চান তাহলে সুস্পষ্টভাবে নির্বাচনী আচারণবিধি লঙ্ঘন হবে।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সকল মামলা প্রত্যাহারসহ নিঃশর্ত মুক্তি এবং কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির সভাপতি মরহুম আলহাজ্ব মোঃ খোরশেদ আলমের স্মরণে’ এই সভা হয়। জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী নাগরিক দল আয়োজিত স্মরণ সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ওমর ফারুক। বক্তৃতা করেন মনজুর হোসেন ঈসা, আনোয়ারুল আজীম, আব্দুল গফুর ভূঁইয়া, আতাউর রহমান আংগুর প্রমূখ।
গাজীপুর ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি সেনা বাহিনী মোতায়েনের দাবি জানিয়েছে উল্লেখ করে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আমরা শুনলান, ইসির এবিষয়ে কোন চিন্তা নেই। আমি ইসিকে বলতে চাই, চিন্তায় আনুন। অন্যথায় সিটিতে জনগণ নির্ভয়ে ও নিজ হাতে তাদের ভোট দিতে পারবে না। দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচন ইসির জন্য অগ্নিপরীক্ষা বলেও মন্তব্য করে তিনি।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে খন্দকার মোশাররফ বলেন, সামনে দুটি পথ আছেন। প্রথমত, নির্বাচন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে করতে হবে। দ্বিতীয়ত, সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে সেই নির্বাচন করতে হবে এবং নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করতে হবে। কিন্তু আওয়ামী লীগ এগুলো চাইবে না। আর আমরা আশাও করি না কোনো স্বৈরাচার ইচ্ছাকৃতভাবে জনগণকে এ সুযোগ দিবে। এই সুযোগ আমাদেরকে তৈরী করে নিতে হবে। এজন্য জনগণ ঐক্যবদ্ধ আছে। সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি আর এখনকার সময় এক নয়। এর মধ্যে নদীতে অনেক পানি গড়িয়েছে। সুতরাং ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের মত ভোট ও ভোটার ছাড়া আরো কোন পাতানো খেলা হতে দেওয়া হবে না। জনগণ আগামী নির্বাচনে ভোট দিতে পারলে সেখানে আওয়ামী লীগের কোন পাত্তা ও অস্তিত থাকবে না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন