এবার প্রতিভার খোঁজে নেমেছে বাংলাদেশ আরচ্যারি ফেডারেশন। লক্ষ্য তাদের ২০২০ টোকিও অলিম্পিক গেমস হলেও এখনি পদক জয়ের কথা মুখে বলতে নারাজ ফেডারেশন কর্তারা। তবে ‘গো ফর গোল্ড’ প্রজেক্টের আওতায় ২০২৪ অলিম্পিকে স্বর্ণপদক জয়ের লক্ষ্য নিয়েই এগিয়ে চলছে ফেডারেশন। লক্ষ্যপূরণে আপাতত দেশের ১২ জেলায় প্রতিভা অন্বেষন কর্মসূচি শুরু করেছে তারা। এ তথ্য মিডিয়াকে জানাতে গতকাল বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) ডাচ-বাংলা ব্যাংক অডিটরিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে আরচ্যারি ফেডারেশন। সম্মেলনে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজিব উদ্দিন আহমেদ চপল বলেন, ‘টোকিও অলিম্পিকে সম্ভব না হলেও এর পরের অলিম্পিকে আমরা পদক জিতবো ইনশাল্লাহ।’
লাল-সবুজ আরচ্যারিকে এগিয়ে নিতে গত অক্টোবরে ফেডারেশনের সঙ্গে পথচলা শুরু করে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্প প্রতিষ্ঠান সিটি গ্রæপ। তারা ফেডারেশনকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় এক চুক্তির মাধ্যমে। কেবল টুর্নামেন্ট আয়োজনেই নয়, চুক্তির অধীনে সবচেয়ে বড় যে কাজটি রয়েছে, তা হলো সারাদেশ থেকে প্রতিভাবান আরচ্যার খুঁজে বের করা। সিটি গ্রæপের আর্থিক সহযোগিতায় এ লক্ষ্যে আগামীকাল থেকেই মাঠে নামছে ফেডারেশন। প্রথম ধাপে ১২ জেলায় প্রতিভা অন্বেষন কার্যক্রম শুরু করছে তারা। জেলাগুলো হলো- ফরিদপুর, চুয়াডাঙ্গা, জয়পুরহাট, নীলফামারী, দিনাজপুর, রাজশাহী, নড়াইল, বান্দরবান, বাগেরহাট, চট্টগ্রাম, গোপালগঞ্জ ও ঢাকা। পর্যায়ক্রমে দেশের ৬৪ জেলাকেই এই কার্যক্রম চলবে। প্রায় তিন মাসব্যাপী এই প্রতিভা অন্বেষণ কর্মসূচি পরিচালনার জন্য সিটি গ্রæপ দিচ্ছে ৪৫ লাখ টাকা। ১২ জেলার প্রত্যেকে পাবে তিন লাখ ৭৫ হাজার টাকা করে। বাছাই কার্যক্রম হবে জেলা ক্রীড়া সংস্থার মাধ্যমে। আর বাছাইয়ের জন্য রাজধানী থেকে কোচ পাঠাবে ফেডারেশন।
চপল আরো বলেন, ‘প্রত্যেক জেলায় বাছাইকৃতদের নিয়ে আট দিনের প্রশিক্ষণ হবে। প্রাথমিক বাছাইয়ের জন্য নেয়া হবে ৫০ জন আরচ্যার। পরে সেখান থেকে কমিয়ে এ সংখ্যা আনা হবে ২০-এ। তাদেরকে জেলা পর্যায়েই আট দিন প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।’
প্রত্যেক জেলা থেকে চূড়ান্তভাবে দু’জন করে আরচ্যার বাছাই করা হবে। ১২ জেলার ২৪ আরচ্যারকে নিয়ে আগামী ২২ মে টঙ্গীস্থ শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার স্টেডিয়ামে আবাসিক প্রশিক্ষণ ক্যাম্প শুরু করবে ফেডারেশন । সেখানে তিন ধাপে ৬০ দিন প্রশিক্ষণ দেয়া হবে আরচ্যারদের। সংবাদ সম্মেলনে সিটি গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক শোয়েব মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আসলে লক্ষ্যটা বড় থাকলে ভালো লাগে। আমরা যদি বলতাম, অলিম্পিকে ব্রোঞ্জ জিততে চাই। সেটা শুনতে ভালো লাগতো না। তাই আমরা লক্ষ্যটা বড় রেখেছি। এই প্রতিভা অন্বেষণই আমাদের প্রধান কর্মসূচি। আগামীতে আরো জেলা আসবে এই কর্মসূচির আওতায়।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন