আর দশটি দিনের মতোই সূর্যোদয় হয়েছিল। কিন্তু ভোরের আকাশে সেই সূর্য আলো ছড়াতে পারেনি। নীল আকাশটা যেনো কালো মেঘের চাদরে মুড়ি দিয়েছিল। তাই ভোরের আলো ফুটতেই মেঘমেদুর আবহাওয়া ভর করে রাজশাহীতে।
ঘড়ির কাঁটায় আজ সোমবার সকাল সোয়া ৮টা, ঠিক তখনই শুরু হয় কালবৈশাখী। এই ঝড় পাঁচ মিনিট স্থায়ী ছিল। এ সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৩০ নটিকেল মাইল। এরইমধ্যে শুরু হয় বজ্রসহ বৃষ্টি। মেঘের গগণফাটা গর্জনে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন রাজশাহীর মানুষ।
সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত বৃষ্টি পরিমাপক যন্ত্রে (রেইন গেজ) জমা হয় ৬১ মিলিমিটার। যা চলতি মৌসুমের প্রথম ভারী বৃষ্টিপাত বলছে রাজশাহী আবহাওয়া অফিস।
পাঁচ মিনিটের কালবৈশাখীতে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় সব কিছু। বিশেষ করে আম ও লিচুসহ উঠতি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া রাজশাহীর পবা, গোদাগাড়ী, বাঘা-চারঘাটসহ বিভিন্ন উপজেলার গ্রামাঞ্চল থেকে গাছপালা ভেঙে পড়া এবং কাঁচা ঘর-বাড়ির টিনের চালা উড়ে যাওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। ঝড়ের সময় বজ্রপাতে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার নওপাড়া গ্রামে বেগুনের ক্ষেতে বিষ দিতে গিয়ে এক কৃষক নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গাজী সুলতান জানান, নিহত কৃষক ইউনিয়নের নওপাড়া গ্রামের আরজ উদ্দিনের ছেলে। সকালে বেগুনের জমিতে বিষ দিতে গিয়ে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
এদিকে রাজশাহীর ওপর দিয়ে কালবৈশাখী শুরুর পর গোটা মহানগরী বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। এছাড়া কালবৈশাখীর ছোবলে মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে গাছপালা পড়ে গেছে। কালবৈশাখীর তাণ্ডবের পর ভারী বর্ষণে মহানগরীর সাহেব বাজার ছাড়াও উপশহর, বর্ণালীর মোড়, আমবাগাম, কলাবাগান, কোর্ট হড়গ্রাম ষষ্টিতলা এলাকায় পানি জমে গেছে। এতে যানবাহন ও সাধারণ মানুষের চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। সকালের হঠাৎ ঝড়-বৃষ্টিতে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী ও কর্মস্থলমুখী মানুষকে বেশি দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া সহকারী আনোয়ারা বেগম
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন