গাজীপুর সিটি নির্বাচন স্থগিতের প্রসঙ্গ টেনে সংবিধান প্রণেতা জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার আহবায়ক ড. কামাল হোসেন প্রশ্ন তোলে বলেছেন, গাজীপুরের নির্বাচন কিভাবে বন্ধ করে দেয়া হল? ভবিষ্যতে নির্বাচন ব্যবস্থাই স্থগিত হয়ে যায় কি না? সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘সর্বগ্রাসী লুণ্ঠন বাংলাদেশের বিপুল সম্ভবনাকে ধ্বংস করছে’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ড. কামাল হোসেন বলেন, তারা আলামত পেয়েছিলো সুষ্ঠ নির্বাচন হলে ১০ শতাংশ ভোটও পাবেন না। এজন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পুরো নির্বাচন ব্যবস্থাই বন্ধ করে দেয়া হয় কিনা সেটাই আশংকা করছি। কেননা তারা জেনে গেছে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসতে পারবে না।
তিনি বলেন, সামনে একটা নির্বাচনের কথা হচ্ছে, আপনারা আর বসে থাকবেন না। আমরা নির্বাচিত প্রতিনিধিকে দেখেছি একরকম আর এখন অনির্বাচিত প্রতিনিধিকে দেখেছি আরেকরকম। এখন যারা আছেন তারা আসলে নিয়োগ করা চাকর। বঙ্গবন্ধুর জীবনীর প্রসঙ্গ তুলে ধরে এ সংবিধান প্রণেতা বলেন, তিনি ক্ষমতায় যেয়ে ভোগবিলাস করেননি, নিজেকে জনগণের জন্য উৎসর্গ করে দিয়েছেন। চার হাজার কোটি টাকা লুটপাট হচ্ছে কিন্তু তা ফিরিয়ে আনার কোনো লক্ষণ নেই। ড. কামাল বলেন,
আলোচনায় অংশ নিয়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, এখন ঘরে ঘরেই বেকার রয়েছে, প্রতিবছর বেকারের সংখ্যা বাড়ছে। এটাকে দ্রæত কমাতে হবে। দেশের পরিবর্তন করতে হবে। দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ডকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ বলেন, এই সর্বগ্রাসী সরকারকে সরিয়ে একটা গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া কাজ করে যাচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের আগে যে সরকার ছিলো আর এ বিনাভোটের সরকারের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। এটা মহাজোটের সরকার নয়, এটা মহালুটের সরকার। তিনি বলেন, আগের সরকারের সময় দুর্নীতি ছিলো, তখন ছিলো হাওয়া ভবন এখন হইছে খাওয়া ভবন। বিদেশেও নাকি এখন তার শাখা হয়েছে। গণফোরাম নেতা সুব্রত চৌধুরী বলেন, এক শ্রেণির লোক মহাৎসবে দুর্নীতি করে যাচ্ছে আর আমরা চোখে কালো চশমা দিয়ে দেখছি। আমরা চেয়েছিলাম সুশাসন, দেশে এখন চলছে কুশাসন। অনির্বাচিত এ সরকার অবৈধ, আমরা তার কাছে কি আশা করতে পারি। গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টুর সঞ্চলনায় আরো বক্তব্য রাখেন জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার মহাসচিব আ ব ম মোস্তফা আমিন, আবদুল জলীল প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন