উন্নত দেশে টিউবারকুলোমা তেমন দেখা যায় না। তবে স্বল্পোন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশে টিউবারকুলোমা দেখা যায়। যক্ষার জীবাণু ব্রেনে টিউমারের মত দেখতে এক ধরনের ক্ষত তৈরি করে। একেই টিউবারকুলোমা বলে। টিউবারকুলোমা এক বা একাধিক হতে পারে। ব্রেনেই সাধারণত টিউবারকুলোমা দেখা যায়। তবে বাচ্চাদের ক্ষেত্রে সেরেবেলামে টিউবারকুলোমা বেশী হয়। টিউবারকুলোমাতে বিভিন্ন উপসর্গ থাকে। এর মধ্যে আছে-
১। মাথাব্যথা। ২। বমিভাব ৩। বমি ও অস্বস্তি ৪। কথা বলতে সমস্যা ৫। একদিকে অবশ হয়ে যাওয়া ৭। চলাফেরায় সমস্যা ৮। জ্বর ইত্যাদি।
সবার ক্ষেত্রে একইরকম উপসর্গ হবে এমন নয়। একেক জনের একেকরকম উপসর্গ হয়।
সিটি স্ক্যান করে টিউবারকুলোমা ডায়াগনসিস করা যায়। তবে ব্রেনে টিউমার ছড়িয়ে গেলে বা ব্রেনের টিউমার হলেও একই রকম উপসর্গ এবং সিটি স্ক্যানে প্রায় একইরকম দেখা যেতে পারে। তখন এমআরআই করা হয়। এছাড়া যক্ষার জন্য বুকের এক্সরে, রক্ত পরীক্ষা, মানটু টেস্ট ইত্যাদি করা হয়।
টিউবারকুলোমা সন্দেহ হলে যক্ষার ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা করা হয়। তারপর সিটি স্ক্যান করে দেখা হয়। আকার ছোট হয়ে গেলে বোঝা যায় ওষুধ কাজ করছে। কাজ না করলে অপারেশন করা হয়। তারপর যক্ষার ওষুধ দেয়া হয়। সাধারনত যক্ষার চিকিৎসা ৬মাসের হলেও এক্ষেত্রে তা কমপক্ষে ১২ মাস এবং কিছু ওষুধ বেশী দিতে হয়। টিউবারকুলোমার রোগী প্রায়ই দেখা যায়। সুতরাং এ বিষয়ে সবারই সচেতন হওয়া উচিত।
ডাঃ মোঃ ফজলুল কবির পাভেল
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন