রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা যক্ষা নিয়ন্ত্রণে ৬ চ্যালেঞ্জ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৮ আগস্ট, ২০১৮, ১২:০৪ এএম

সামগ্রিকভাবে যক্ষা রোগ নিয়ন্ত্রণে সাফল্য এলেও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে এখনও অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। এগুলো হচ্ছে- শনাক্ত না হওয়া যক্ষা রোগী সেবার আওতায় না আসা, প্রয়োজনীয় জনবলের অভাব, নগরে যক্ষা নিয়ন্ত্রণ, তৃণমূল পর্যায়ে সর্বাধুনিক ডায়াগনস্টিক ব্যবস্থার সুযোগ না থাকা, এই রোগ নিয়ন্ত্রণে প্রাইভেট চিকিৎসকদের কম সম্পৃক্ততা থাকা, যক্ষা শনাক্তকরণ বাধ্যতামূলক না হওয়া।
গতকাল সোমবার রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে আয়োজিত ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে জাতীয় যক্ষা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির সাফল্য ও প্রতিবন্ধকতা; আসন্ন জাতিসংঘের উচ্চ পর্যায়ের সভায় জাতীয় অঙ্গীকার’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা যক্ষা নিয়ন্ত্রণে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এ সুপারিশ তুলে ধরেন। জাতীয় যক্ষা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি, দৈনিক ইত্তেফাক ও ব্র্যাক যৌথভাবে এ গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় যক্ষা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কোঅর্ডিনেটর ডা. রুপালী শিশির বানু। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ব্র্যাক টিবি কন্ট্রোল প্রোগ্রাম-এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার সরদার মুনিম ইবনে মহসিন।
দৈনিক ইত্তেফাক এর সিনিয়র রিপোর্টার আসিফুর রহমান সাগর-এর সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. এম এ ফয়েজ, জাতীয় যক্ষা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর প্রফেসর ডা. মোঃ সামিউল ইসলাম, ন্যাশনাল অ্যান্টি টিউবারকিউলোসিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নাটাব)-এর প্রেসিডেন্ট মোজাফফর হোসেন পল্টু, দৈনিক ইত্তেফাক-এর সম্পাদক তাসমিমা হোসেন, ব্র্যাকের কমিউনিকেবল ডিজিজেস, ওয়াশ ও ডিএমসিসি কর্মসূচির পরিচালক ড. মোঃ আকরামুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, বিশেষজ্ঞগণ, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা ও বেসরকারি সংস্থাসমূহের প্রতিনিধিবৃন্দ।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘২০৩০ সাল নাগাদ টেকসই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে (এসডিজি) যক্ষারোগের মৃর্ত্যুর হার ৯০ শতাংশ কমিয়ে আনার কথা বললেও-আমি আশা করছি আগামী ছয় বছরের মধ্যে আমরা তা সেই লক্ষ্যে পৌঁছতে পারব। তিনি যক্ষা নিয়ন্ত্রণে আরও বেশি সচেতনতা গড়ে তুলতে গণমাধ্যম কর্মীদের আহবান জানান।
ডা. এম এ ফয়েজ বলেন, ‘যক্ষাকে এখন ‘নিয়ন্ত্রণের’ পরিবর্তে ‘নির্মুল’ করার ব্যাপারে আমাদের চিন্তা করতে হবে। এজন্য ‘সীমিত জনবল’কে সর্বোচ্চ ব্যবহার ও বেসরকারি পর্যায়ে চিকিৎসা সেবায় সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। ডা. মোঃ সামিউল ইসলাম বলেন, যক্ষা রোগ নিয়ন্ত্রণে আমাদেরকে দুটি পর্যায়ে বিশেষভাবে কাজ করতে হবে। একটি হচ্ছে যক্ষা শনাক্তকরণ, অন্যটি হচ্ছে এর প্রতিরোধী ব্যবস্থা।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বর্তমানে কফে জীবাণুযুক্ত যক্ষারোগী সণাক্তকরণের হার প্রতি লাখে ৮৬ জন। ২০১৭ সালে জাতীয় যক্ষা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির আওতায় ২ লাখ ৪৪ হাজার ২০১ জন রোগী সনাক্ত হয়েছে এবং চিকিৎসার আওতায় এসেছে। চিকিৎসার সফলতার হার শতকরা ৯৫ ভাগ, যা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। তবে বাকি ৩৩শতাংশ রোগী এখনও শনাক্তের বাইরে- যা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বড় চ্যালেঞ্জ।
মূল প্রবন্ধে বলা হয়, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জন করতে হলে ২০৩০ সাল নাগাদ যক্ষারোগে মৃর্ত্যুর হার ৯০ শতাংশ এবং নতুনভাবে শনাক্তকৃত যক্ষারোগীর হার ৮০ শতাংশ কমিয়ে আনতে হবে। ##

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন