শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

সফরকালে রোজার হুকুম

এ. কে. এম. ফজলুর রহমান মুন্্শী | প্রকাশের সময় : ২৩ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম

সফর কালে রোজা না রাখার অনুমতি মহান আল্লাহ পাক প্রদান করেছেন। কুরআনুল কারীমে এ প্রসঙ্গে ইরশাদ হয়েছে : (রমজান মাসে) ‘যে ব্যক্তি রোগাক্রান্ত হবে অথবা দেশে-বিদেশে সফরে থাকবে তার জন্য অন্য দিনে রোজার কাজা আদায় করা বৈধ।’ (সূরা বাকারাহ : আয়াত ১৮৫)। সফরকালীন বা রোগাক্রান্ত হলে রোজা না রাখার কারণ বিশ্লেষণ করে মহান রাব্বুল আলামীন ইরশাদ করেছেন : ‘আল্লাহ তোমাদের প্রতি সহজতর আচরন করতে চান, কাঠিন্য ও কষ্টের আচরন করতে চান না।’ (সূরা বাকারাহ : আয়াত ১৮৫)।
সফর কালে রোজাদার যদি মনে করে যে সে রোজা রাখলে কোনরকম অসুবিধা হবে না, তাহলে রোজা রাখাই উত্তম। আর যদি পরিবেশ, পরিস্থিতি রোজা রাখার অনুকুল না হয়, তা’হলে সফরকালীন সময়ে রোজা না রেখে পরবর্তী সময়ে সে রোজাগুলোর কাজা আদায় করবে।
এ পর্যায়ে সাহাবী ও পরবর্তিকালের ফিকাহাবিদদের মধ্যে মত পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। হযরত ইবনে আব্বাস (রা:) হযরত আনাস (রা:) হযরত আবু সাঈদ ইবনুল মুসায়্যিব (রা:), হযরত ইবনে যুবায়ের (রা:), হাসান বসরী নাখয়ী, মুজাহিদ, আওযায়ী ও আবু লাইস (রাহ:) প্রমুখ ফিকাহবিদদের অভিমত হল, এ ব্যাপারে ব্যক্তির ইচ্ছা ও এখতিয়ারের উপরই সব কিছু নির্ভরশীল। সে ইচ্ছা করলে রোজা রাখতেও পারে আবার না রাখতেও পারে।
অপর কিছু বিশেষজ্ঞ যেমন উমর ইবনু আবদুল আজীজ, শাবী, কাতাদাহ, ইমাম শাফেয়ী, ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল, ইসহাক (রাহ:) এই অভিমত ব্যক্ত করেছেন যে, সফরের হালতে রোজা রাখা না রাখার চেয়ে উত্তম। আর হযরত হুযায়ফা (রা:) রোজার মাসের সফরে কখনো রোজা রাখতেন না। ইমাম আবু হানিফা, তাঁর সঙ্গীগণ, আসওয়াদ ইবনে ইয়াজিদ (রাহ:) এই মতই সমর্থন করেছেন।
মোটকথা, সফরকালে রোজা রাখা এবং রোজা না রাখা উভয়টিই বৈধ। কিন্তু রোজা রাখা উত্তম, না রোজা না রাখা উত্তম এ বিষয়ে মত পার্থক্য আছে। অধিকন্ত ইমাম আবু হানিফা, ইমাম মালিক, এবং ইমাম শাফেয়ী (রাহ:) বলেছেন যে, যার রোজা রাখবার শক্তি আছে তার জন্য রোজা রাখা উত্তম। আবার কেউ কেউ বলেন, যার জন্য যা সহজ তার জন্য সে পদ্ধতি অবলম্বন করাই শ্রেয়।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন