বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

যশোরে থানা হাজতে আসামির মৃত্যু

যশোর ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৯ মে, ২০১৮, ১:১১ পিএম

যশোরের বাঘারপাড়া থানা হাজতে রিমান্ডে থাকা এক হত্যা মামলার আসামির মৃত্যু হয়েছে। তন্ময় কুণ্ডু নামের ২২ বছর বয়সী ওই তরুণ থানা হাজতে ‘গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা’ করেছেন বলে পুলিশের ভাষ্য।
তন্ময় বাঘারপাড়া উপজেলার নারিকেলবাড়িয়া এলাকার তনয় কুণ্ডুর ছেলে। তন্ময় ও তার মা আল্পনা কুণ্ডু নারিকেলবাড়িয়া পশ্চিমা মাদ্রাসার অফিস সহকারী অসাদুল হত্যা মামলার আসামি ছিলেন।
গত ৮ মে নারিকেলবাড়িয়ার পশ্চিমা মাদরাসার অফিস সহকারী অসাদুল (৫২) নিখোঁজ হন। দুই দিন পর ১১ মে নারিকেলবাড়িয়া শ্মশানঘাট এলাকা থেকে আসাদুলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
আসাদুলের স্ত্রী লাকি বেগম পরদিন সাতজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে বাঘারপাড়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। সেখানে আল্পনা কুণ্ডুকে এক নম্বর এবং তার ছেলে তন্ময়কে দুই নম্বর আসামি করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বাঘারপাড়া থানার এসআই শাহ আলম জানান, এ মামলায় মোট চারজনকে তারা আটক করেন। তাদের মধ্যে তন্ময়কে আদালতের অনুমতি নিয়ে সোমবার বিকালে এক দিনের রিমান্ডে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
“ইফতারের পর তন্ময়কে ডাকাডাকি করে না পেয়ে হাজতের টয়লেটে খুঁজে দেখা যায় সে সেখানে গোঙাচ্ছে, তার গলায় কম্বল পেঁচানো।”
সেখান থেকে উদ্ধার করে তন্ময়কে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন বলে জানান শাহ আলম।
বাঘারপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ইসরাত নাজনীন জানান, সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটে তন্ময়কে হাসপাতালে আনা হয়। তার আগেই তার মৃত্যু হয়।
এক প্রশ্নের জবাবে এসআই শাহ আলম বলেন, “আসাদুলের লাশ উদ্ধারের আগে একটি নতুন মোবাইল সিম থেকে একাধিকবার কথা বলেন তন্ময়। ওই সিমে আর কারও কলের তালিকা পাওয়া যায়নি। নিশ্চিত ফেঁসে যাবেন জেনেই তন্ময় আত্মহত্যা করেছে।”
তবে অসাদুলকে কেন হত্যা করা হয়েছে এবং ওই ঘটনায় তন্ময় কীভাবে সম্পৃক্ত তার বিস্তারিত তথ্য পুলিশের কাছ থেকে জানা যায়নি।
যোগাযোগ করা হলে বাঘারপাড়া থানার ওসি মঞ্জুরুল আলম বলেন, থানা হাজতে এক যুবকের ‘আত্মহত্যার’ ঘটনায় তারা খুবই ব্যস্ত, পরে কথা বলবেন।
এদিকে রিমান্ডের আসামির মৃত্যুর ঘটনায় যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) সালাউদ্দিন শিকদার, দুইজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনিরা পারভীনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন