সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

বন্দুকযুদ্ধে আরও তিনজন নিহত

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২ জুন, ২০১৮, ১২:০০ এএম

সারাদেশে মাদক নির্মূল অভিযানে দুই জেলায় কথিত বন্দুকযুদ্ধে আরও তিনজন নিহত হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে রাজশাহীর পবা এবং গাজীপুর শহরে নিহত ওই তিনজনই নিহত হয়। মাদকবিরোধী অভিযান শুরুর পর এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২২ জনে।
গাজীপুর জেলা সংবাদদাতা জানান, গাজীপুরে ডিবি পুলিশের সাথে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী কামাল খান ওরফে কামরুল ইসলাম ওরফে কামু (৩২) নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটার দিকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের পূবাইলের ভাদুন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত কামাল খান ওরফে কামরুল ইসলাম ওরফে কামু টঙ্গীর পূর্ব আরিচপুরের মৃত সিরাজ খানের ছেলে।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার রায়েরদিয়া এলাকা থেকে ৪ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট এবং একটি নম্বর বিহীন প্রাইভেটকারসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় রাতেই তার রিরুদ্ধে কালীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করা হয়। পরে তাকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে আসার পথে শুক্রবার ভোর রাত আড়াইটার দিকে ভাদুন এলাকায় পৌছলে কামুর সহযোগিরা তাকে ছিনিয়ে নেয়ার জন্য ডিবি পুলিশকে লক্ষ্য করে অতর্কিতভাবে হামলা করে গুলি বর্ষণ করতে থাকে। এ সময় ডিবি পুলিশ আাত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছুড়ে। এক পর্যায়ে কামু পুলিশের গাড়ি থেকে নেমে দৌড়ে পালাতে গেলে সহযোগি মাদক ব্যবসায়িদের গুলিতে আহত হয়। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। গাজীপুর গোয়েন্দা পুলিশের ইন্সপেক্টর ডেরিক স্টিফেন কুইয়্যা জানান, কামু টঙ্গীর আরিচপুর এলাকার চিহ্নিত ও কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ি। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
রাজশাহী ব্যুরো জানায়, রাজশাহীতে র‌্যাবের গুলিতে দুইজন নিহত হয়েছে। এরা দুজনই শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ছিল বলে র‌্যাব সূত্র জানায়। নিহত দু’জন হলো, বেলাল হোসেন (৪০)। সে রাজশাহীর পবা উপজেলার বড়গাছি গ্রামের কছের আলী মন্ডলের ছেলে। অন্যজন একই উপজেলার নাজমুল হক (৩৫)। এদের মধ্যে বেলাল ছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত। মাদক ও ডাকাতিসহ নানা অভিযোগে রাজশাহী ও সিরাজগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন থানায় তাদের বিরুদ্ধে ৬টি করে মামলা ছিল।
র‌্যাব-৫ উপ-অধিনায়ক মেজর এএম আশরাফুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার রাতে করমজা এলাকায় টর্চের আলো ও কয়েকজন মানুষের আনাগোনা দেখতে পেয়ে সেদিকে এগিয়ে যায় র‌্যাবের একটি টহল দল। তখন কয়েকজন দৌড়ে পালাতে শুরু করে। এ সময় র‌্যাব তাদের আত্মসমর্পণের আহ্বান জানায়। কিন্তু মাদক ব্যবসায়ীরা র‌্যাবকে লক্ষ্য করে অতর্কিত গুলিবর্ষণ শুরু করে। আত্মরক্ষায় র‌্যাবও তখন পাল্টা গুলি ছোঁড়ে। প্রায় ১০ মিনিট ধরে চলে এই গোলাগুলি। পরে মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায়। তখন ঘটনাস্থলে বেলাল ও নাজমুলকে আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। এরপর আহতদের উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। নিহত দুজনেরই গুলি লেগেছিল বুকে। র‌্যাব জানায়, বন্দুকযুদ্ধের পর ঘটনাস্থল থেকে তিন কেজি গাঁজা, একটি বিদেশী পিস্তল, একটি ম্যাগজিন, একটি গুলির খোসা, একটি টর্চলাইট, ৯টি স্যান্ডেল, দুটি চাকু, দুটি লাইটার এবং তিন প্যাকেট সিগারেট জব্দ করা হয়েছে। বন্দুকযুদ্ধ এবং অস্ত্র ও গাঁজা উদ্ধারের ঘটনায় থানায় তিনটি মামলা করা হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন