ইসলাম ধর্মের প্রথম পাঁচ স্তম্ভের উল্লেখ যোগ্য একটি হচ্ছে পবিত্র রমজান মাসের রোজা। যা সকল মুসলমানের জন্য আল্লাহ ফরজ বা বাধ্যতা মূলক করে দিয়েছেন। এ মাসে রোজার কারণে মানুষের খাদ্যাভ্যাস ও সময় সূচীর পরিবর্তণ জনিত কারণে রোজাদারের শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে। সারাদিন রোযা রাখার পর ইফতারিতে অতিরিক্ত ক্যালরি ও তৈল-মসলাযুক্ত খাবারের ফলে এ সমস্যা প্রায়ই হয়ে থাকে। এসময় খাবার গ্রহণের দিক থেকে কিছুটা সাবধানতা অবলম্বন করা জরুরি। তাই বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় রমজান মাসে রোজাদারের বেশি করে খেজুর খাওয়া প্রয়োজন। একজন রোজাদারের শরীরে রোজা রাখার কারণে সারাদিনে যতটুকু ক্যালরি ও শক্তি ক্ষয় হয় তা ইফতারের সময় খেজুর সহ বিভিন্ন ফল-ফলাদি খাওয়ার ফলে প্রয়োজনীয় ক্যালরির সম্পূর্ণটা পূরণ হয়ে যায়। কেননা ইফতারিতে যেসকল খাবার খাওয়া হয় তার সবগুলোই ক্যালরিবহুল।
রমজান মাসে ইফতারিতে কম বেশি সবাই খেজুর খেতে পছন্দ করেন। পুষ্টিগুণের দিক থেকে খেজুরের কোনো তুলনাই হয়না। সারা বছর এই খাবারটির চাহিদা না থাকায় বাজারে খুব বেশি দেখাও মেলেনা। তবে রোজার মাসে চাহিদার সাথে সাথে ব্যবহারও বৃদ্ধি পায়।
রোগ নিরাময়কারী এ খেজুরের রয়েছে বহু গুনাগুন। খেজুর রক্ত উৎপাদন, হজমশক্তি বৃদ্ধি, যকৃৎ ও পাকস্থলীর শক্তি বৃদ্ধি, মুখে রুচি আনা ছাড়াও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এছাড়া, মুখের অর্ধাঙ্গ রোগ, পক্ষঘাত এবং সব ধরনের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ অবশকারী রোগের জন্যও খেজুর উপকারী। তাই শুধু রমজান মাসের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে বছরের সব মাসেই এ খেজুর খাওয়ার অভ্যাস করা প্রয়োজন। তবে রোজার মাসে রোজাদারদের বেশি বেশি এ খেজু খাওয়ার দরকার বলে চিকিৎসা সংশ্লিষ্টরা মত প্রকাশ করেছেন।
এছাড়াও খেজুরের যেমন রয়েছে অনেক গুন তেমনি তার বিচিও রোগ নিরাময়ে বিশেষ ভূমিকা রাখে। খেজুর পাতলা পায়খানা বন্ধ করে এবং এর বিচিকে চুর্ণ করে দাঁতের মাজন হিসেবে ব্যবহার করলে দাঁত ঝকঝকে পরিষ্কার হয়, দাঁেতের বিভিন্ন রোগ-বালাই প্রতিরোধেও খুব ভাল ফল পাওয়া যায়। এই ফল পেটের গ্যাস কমাতে, কফ দূর করতে, শুষ্ক কাশি এবং স্বাসকষ্ট নিরাময়েও যথেষ্ট সাহায্য করে।
-কাজী এম এস এমরান কাদেরী
বোয়ালখালী, চট্টগ্রাম।
০১৮১২৮১১১৯৭।
amrankaderi@gmail.com
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন