সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

ব্যানানা ম্যাংগো জনপ্রিয়

স্টাফ রির্পোটার মাগুরা | প্রকাশের সময় : ৯ জুন, ২০১৮, ১২:০০ এএম

মাগুরায় ব্যানান ম্যাংগো দিনদিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কলার মত থোকায় থোকায় ঝুললেও কলা নয় এটাই ব্যানানা ম্যাংগো । এ কারনেই এর নামকরণ করা হয়েছে কলার সাথে মিলিয়ে। অনেকেই দুর থেকে দেখলে ভুল করবে কলা ভেবে। মাগুরা হটিকালচার সেন্টারে গেলেই দেখা যাবে এ আম। মাগুরা হটিকালচার সেন্টারের উদ্যানতত্ববিদ আমিনুল ইসলাম জানান,সাধারণ জাতের আমের সাথে শুধূ চেহারায় নেয়, পার্থক্য রায়েছে স্বাদ, গন্ধ, ফলন, গুনাগুনের। আর সে কারণেই এ আম চাষ করতে চাষিরা বেশী আগ্রহ দেখাচ্ছে। আর চারা সংগ্রহ করতে ভীড় জমাচ্ছে হটিকালচার সেন্টারে। আম্রপালি থেকেও এ আমের স্বাদ ভাল, তবে এ আমের পরিচিতি এখনও অনেকের জানা নেই। তবে এ আমের চারা রোপনের ২ বছরের মধ্যে ফলন পাওয়া যাবে। তাছাড়া দেশে প্রচলিত আমের চেয়ে এর ফলন দ্বিগুনেরও বেশী। কলার মত দেখতে এ আম পাকলে সাগর কলার মত রং ধারণ করে। এ আম হালকা টকমিষ্টি ছোট্র হাটি, পাতলা খোষা প্রকৃত আমের স্বাদ রয়েছে। সাধারণত শেষের দিকে এ আম পাকে। এর বৈশিষ্ট হচ্ছে পাকা আম এক মাস ঘরে রাখা যায়। বর্তমানে এ আমের রং আসতে শুরু করেছে। মাগুরা হটিকালচার সেন্টারের উপ সহকারি উদ্যান তত্ববিদ দেলোয়ার হোসেন জানান, ২০১৪ সালে থাইল্যান্ড থেকে এ আমের ডাল এনে স্থানীয় জাতের আম গাছের সাথে তিনটি কলম গ্রাফটিং করে বংশবিস্তার করা হয়। কলম থেকে লাগানো তিনটি গােেছর প্রতিটিতেই প্রথম বছর গড়ে শতাধীক আম ধরে। গত বছর পরীক্ষামূলক ভাবে কলমের কিছু চারা বিক্রি ও বিতরণ করা হয়।এবার হটিকালচারের বাগানে প্রতিটি গাছেই অনেক আম দেখা যাচ্ছে। এ আমের পরিচিতি এবং আবাদ গ্রামাঞ্চলে ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হলে আম উপাদনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পৃথিবীর বুকে স্থান করে নিতে সক্ষম হবে। আর এ থেকে উপার্জন হবে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন