ভারতের আসামে সামাজিক মাধ্যম ও হোয়াটস অ্যাপে ছড়ানো গুজবে দুই তরুণকে পিটিয়ে হত্যা করেছে গ্রামবাসী। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ইতোমধ্যে ১৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
হত্যার শিকার দুই তরুণের জন্য ন্যায়বিচারের দাবিতে ভারতীয় জনতা
প্রতিবেদনে বলা হয়, কারবি আংলোক জেলার প্রত্যন্ত এক গ্রামে অভিজিৎ নাথ ও নিলোটপাল দাস নামেরও ওই দুই তরুণকে হত্যা করে ২০০ জন গ্রামবাসী। তাদের বিরুদ্ধে গুজব ওঠে, শিশু অপহরণ ও পাচারের সঙ্গে জড়িত তারা।
আসাম পুলিশের মহাপরিচালক কুলাধার সাইকিয়া বলেন, ‘আমরা দোষীদের বিরুদ্ধে শক্ত পদক্ষেপ নিয়েছি। ইতোমধ্যে ১৮ জনকে গ্রেফতার করেছি। এছাড়া সামাজিক মাধ্যমে গুজব ছড়ানোর অভিযোগেও গ্রেফতার করা হয়েছে কয়েকজনকে।’
ওই দুই তরুণকে হত্যার ভিডিও এখন ঘুরে বেড়াচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে। এমন একটি ভিডিওতে দেখা যায়, একজন ব্যক্তি হাত জোর কর বলছে, ‘আমাকে মারবেন না, দয়া করে আমাকে মেরে ফেলবেন না। আমি আসামেরই সন্তান। আমাকে যেতে দিন।’
শনিবার গাড়িতে করে পানুরি কাচারি গ্রামে ঘুরতে গিয়েছিলেন অভিজিৎ নাথ ও নিলোটপাল দাস। সেখানেই তাদের ধাওয়া করে খুন করা হয়। গ্রামটিতে বসবাস করা এক নারী বলেন, ‘আমরা শুনেছিলাম যে শিশু অপহরণকারীরা আমাদের গ্রামে ঢুকেছে। তাদের একজনের বড় চুল ছিল। আমরা হোয়াটসঅ্যাপ ও ফেসবুকের মাধ্যমে বিষয়টা জানতে পারি।’ তিনি বলেন, ওই দুই তরুণকে থামিয়ে জিজ্ঞাসা করা হচ্ছিলো যে তারা কোথা থেকে এসেছে। এমন সময় কয়েকজন এসে তাদের মারতে শুরু করে।
এই ঘটনার পরে পুলিশ সবগুলো জেলায় সতর্ক অবস্থান নিয়েছে। সামাজিক মাধ্যম থেকে যেন গুজব না ছড়ায় সেই বিষয়েও নজর রাখতে বলেছে কর্তৃপক্ষ। আসামের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল রাজ্য পুলিশ প্রধান সালকিয়াকে শান্তি বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন