গার্মেন্টেসের সব শ্রমিক বেতন-বোনাস পেয়েছে বলে দাবি করেছে পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। প্রতিটি কারখানার শ্রমিকরা ঈদে ছুটি পেয়েছে বলেও সংগঠনটির পক্ষে জানানো হয়। তবে, চট্টগ্রাম বন্দরে ও আইসিডি’তে পোশাক কারখানার মালামাল ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না অভিযোগ করে বলা হয়।
এক্ষেত্রে তৈরি পোশাক কারখানার মালামাল বহনকারী ট্রাকগুলো থেকে বাড়তি টাকা দাবি করা হচ্ছে বলেও জানানো হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিজিএমইএ ভবনে ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে পোশাক শিল্পখাতের শ্রম পরিস্থিতি বিষয়ক এক প্রেস বিফ্রিংয়ে বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান এসব তথ্য জানান।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, আমাদের জানামতে শতভাগ পোশাক কারখানায় শ্রমিকদের গত মাসের বেতন ও ঈদের বোনাস দেওয়া হয়েছে। ঈদের ছুটি বিষয়ে তিনি বলেন, এরইমধ্যে ৯০ শতাংশ কারখানায় ছুটি দেয়া হয়েছে। বাকি কারখানাগুলোতেও ছুটি ঘোষণা করা হবে। হয়তো এতোক্ষণে অনেকেই বাড়ির পথে রওয়ানা হয়েছেন। সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ঈদের আগে বেতন ভাতা বিষয়ে সমস্যা হতে পারে এরকম কিছু কারখানার তালিকা আমরা বিভিন্ন সংস্থা থেকে পেয়েছিলাম। বিভিন্ন সংস্থা থেকে প্রাপ্ত এবং বিজিএমইএ এর ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট সেল এর প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সর্বমোট ১২০০ টি কারখানাকে ক্লোজ মনিটরিং এর আওতায় এনেছিলাম।
বিজিএমইএ’র পক্ষ থেকে ১২২০ টি কারখানা পরিদর্শন করেছিলাম। বেতন ভাতা বিষয়ে সমস্যার ধরন বুঝে সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। বিজিএমইএ’র সরাসরি হস্তক্ষেপে সমস্যাপূর্ণ প্রায় ৩৫টি কারখানার শ্রমিকদের বেতনভাতাদি নিশ্চিত করা হয়। আমাদের জানামতে এ মুহূর্তে আমাদের হাতে বেতন ভাতা পরিশোধ বিষয়ে সমাধান করা হয়নি, এ রকম একটি কারখানাও নেই। ‘আমরা ১২২০টা কারখানা পরিদর্শন করেছিলাম। এরমধ্যে ৩৫টি কারখানায় বেতন-বোনাস নিয়ে সমস্যা হবে বলে শঙ্কা ছিল। কিন্ত ওই কারখানাগুলোর সমস্যাও সমাধান করা হয়েছে।’ তিনি আরও জানান, পোশাক শিল্পখাতের জন্য এবারের ঈদ অন্য বছরগুলোর তুলনায় একটু অন্যরকম। ঈদুল ফিতর এমন এক সময়ে উদযাপিত হচ্ছে, যখন ব্যাংকগুলোতে তারল্য সংকট রয়েছে এবং ব্যাংকিং খাতে এক ধরণের অস্থিরতা বিরাজ করছে। একই সঙ্গে নতুন মজুরি ঘোষণার কাজ নিয়ে নূন্যতম মজুরি বোর্ড কাজ করছে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এর ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ব্যাংকে যদি তারল্য সংকট থাকে তাহলে ব্যাংকে আমাদের টাকা থাকার পরেও টাকা দিতে পারবে না। কোন কোন ক্ষেত্রে চেক জমা দেয়ার পরও টাকা পাওয়া যায়নি। আবার দুই একটি কারখানার ক্ষেত্রে ব্যাংকের সহায়তা নিয়ে মজুরি পরিশোধ করা হয়েছে।
ট্রেড ইউনিয়ন বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, কোন মালিক ট্রেড ইউনিয়ন করে দেবে না। মালিক ও শ্রমিক উভয় পক্ষ মিলেই ট্রেড ইউনিয়ন তৈরি করবে। তবে ট্রেড ইউনিয়ন থাকলেই সমস্যা সমাধান হয়, এমন না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন