পাবনায় পদ্মা নদীতে ডুবে যাওয়া শিক্ষার্থী শাকিল হোসেন (১৬) লাশ উদ্ধার করেছেন, রাজশাহী থেকে আসা ডুবুরীরা। মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ৯টার দিকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। শাকিল পাবনার ঈশ্বরদীর পৌর এলাকার সাঁড়া গোপালপুর মহল্লার দিনমজুর রিয়াজুল ইসলামের পুত্র এবং সাঁড়া মারোয়ারী স্কুলের ১০ শ্রেণীর ছাত্র ছিল। এ দিন দুপুরে হার্ডিঞ্জ ব্রিজের অদূরে সাঁড়াঘাট এলাকায় পদ্মা নদীতে বন্ধুদের সাথে গোসল করতে নেমে পদ্মা নদীর মধ্যে জেগে উঠা বালু চরের কাছাকাছি সে তলিয়ে যায়। দিনভর আত্মীয়-স্বজন , ঈশ্বরদী ফায়ার সার্ভিস, পাড়া -প্রতিবেশী ও মাছ ধরার ছোট ছোট নৌকায় জেলেরা জাল ফেলে তাকে উদ্ধারের চেষ্টা করে। শাকিলের ডুবে যাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে তার সহপাঠী এবং গ্রাম-মহল্লার লোকজন নদী পাড়ে ভিড় করেন। অনেকে নদীতে নেমে তার খোঁজ করেন। শাকিলের সন্ধান না পাওয়ায় রাজশাহী থেকে ফায়ার সার্ভিসের দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায় রাত ৭ টার দিকে। তাদের ডুবুরীরা পদ্মা নদীতে প্রায় ২ ঘণ্টা তল্লাশি করার পর ডুবে যাওয়া স্থান থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার দূরে পদ্মা নদী থেকে শাকিলের লাশ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। তার লাশ নদী পাড়ে আনা হলে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। পিতা পুত্র শোকে মূর্ছা যান। সবার চোখে বেদনার অশ্রু নেমে আসে। ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজিমুদ্দিন জানান, লাশ সনাক্ত করার পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সাঁড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এমদাদুল হক রানা সাংবাদিকদের জানান, দিনমজুর রিয়াজুল অনেক কষ্ট করে পুত্রকে লেখা-পড়া করা ছিলেন। পিতার ইচ্ছা ছিল পুত্র তার মত দিন মজুরীর কষ্ট না করে বড় অফিসার হবে। আজ সকালে শাকিলের নামাজে জানাজায় বিপুল সংখ্যক মুসল্লি শরিক হন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন