যশোর শহরের ঘোপ সেন্ট্রাল রোডে যুবলীগ আঞ্চলিক কার্যালয়ে সন্ত্রাসীদের বোমা হামলায় আরাফাত রহমান লিটন (২৫) নামে এক যুবলীগ কর্মী নিহত হয়েছে। নিহত লিটন শহরের ঘোপ এলাকার আব্দুল মুন্না মনুর ছেলে। এই হামলায় ফজলুল করিম মিলন (২৭) নামে অপর এক কর্মী আহত হয়েছে। গত রাত ১০টার দিকে যশোর সদর হাসপাতালের পূর্ব প্রাচীর ঘেরা আঞ্চলিক যুবলীগ কার্যালয়ে এক সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। নিহত লিটন যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার গ্রুপের সমর্থক বলে দাবি করেছে তার স্বজনরা। নিহতদের স্বজনরা এই হামলার জন্য এমপি নাবিলের সমর্থকদের দায়ী করছেন।
ঘটনার পর পরই পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বোমার স্পিøন্টারসহ বেশ কিছু আলামত উদ্ধার করেছে। এই হামলার ঘটনায় এখনো কোন মামলা হয়নি। পুলিশ হামলার সাথে জড়িত কাউকে আটক করতে পারেনি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত সাড়ে ৯টার দিকে লিটন ও মিলন ঘোপ সেন্ট্রাল রোডের যুবলীগ আঞ্চলিক কার্যালয়ে বসে গল্প করছিল। এমন সময় একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী ওই কার্যালয়ে হামলা চালায়। সন্ত্রাসীরা যুবলীগ কর্মী লিটন ও মিলনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে বোমা হামলা চালিয়ে সন্ত্রাসীরা দ্রুত এলাকাত্যাগ করে। এসময় স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত লিটন ও মিলনকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১১টার দিকে লিটন মারা যায়। আহত মিলনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। এদিকে এই হামলার ঘটনায় নিহতের স্বজনরা এমপি নাবিলের লোকজনদের দায়ী করে শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন