সাতক্ষীরায় ৫ম শ্রেণির স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে রানা সরদার (৩৫) নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক লাখ জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদ- প্রদান করেছেন আদালত। একই মামলায় অপহরণের দায়ে তাকে ১৪ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদ- দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২৫ জুন) দুপুরে সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক হোসনে আরা আক্তার এ রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামি রানা সরদার নড়াউল জেলার কালিয়া উপজেলার বিলগঞ্জ গ্রামের মৃত পাচু সরদারের ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, আসামি রানা সরদারের বাড়ি নড়াইল জেলায় হলেও সে কলারোয়ার খোরদো বাজার এলাকায় থাকতো। রানা সরদার ২০০৫ সালের ৮ জুলাই কলারোয়া উপজেলার পাকুড়িয়া গ্রামের খোরদো ব্র্যাক স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রী (১৪) ও তার বান্ধবীকে (১২) অপহরণ করে যশোরের একটি হোটেলে নিয়ে স্ত্রী ও শালিকা পরিচয়ে রাখে এবং পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীটিকে ধর্ষণ করে। এদিকে, ওই ছাত্রীর পরিবারের লোকজন স্কুল থেকে বাড়ি না ফেরায় তাদের খোঁজখবর নেওয়া শুরু করে। পরদিন মনিরামপুরের চাকলা খেয়াঘাটে স্থানীয় এলাকাবাসী রানা সরদারকে আটক করে মারধর দিয়ে ওই দুই স্কুল ছাত্রীর বাড়িতে খবর দেয়। এসময় তাদের পরিবারের লোকজন গিয়ে ওই দুই ছাত্রীকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসে এবং ৯ জুলাই থানায় অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করে।
এ মামলায় নয়জনের সাক্ষ্য গ্রহণ ও নথি পর্যালোচনান্তে আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক আসামিকে ধর্ষণের দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক লাখ জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড এবং অপহরণের দায়ে তাকে ১৪ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেছেন।
সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট জহুরুল হায়দার বাবু বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আসামি পলাতক রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন