বাংলাদেশের একজন নেত্রীর সাথে বন্ধুত্ব মানে বাংলাদেশের সাথে বন্ধুত্ব নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার এই দেশের সরকার নয়। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার একটি জয়েন্ট ভেঞ্চারের সরকার। তাদের আরেকটা পার্টনার আছে। সেই পার্টনাররা যা চায় শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে তাই হয়। শেখ হাসিনার সেই পার্টনারের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র নিয়ে ছিনিমিনি খেলবেন না। বাংলাদেশের মানুষ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছে অন্য কোন দেশের গোলামি করার জন্য নয়। এদেশের মানুষ এদেশ শাসন করবে, এদেশের মন্ত্রী কে হবে তা দেশের জনগণ ঠিক করবে। পার্লামেন্টের সদস্য নির্বাচিত হবে জনগণের ভোটে। অন্য কোন দেশের দিক নির্দেশনা, চোখ রাঙানি, ইশারা বাংলাদেশের মানুষ তোয়াক্কা করে না। এছাড়া একজনকেই ক্ষমতায় রাখার চক্রান্ত গণতন্ত্রের জন্য সম্মানজনক নয়। গতকাল (শুক্রবার) বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকৎসার দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
গয়েশ্বর বলেন, যেদেশের জনগণের ভোট পুলিশ দেয় সেই দেশে কোন নির্বাচন নয়। এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোন নির্বাচন নয়। বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির পরই আমরা নির্বাচনে যাবো। আমরা খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই, এই সরকার ও নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ চাই। তিনি বলেন, ভোটাররা যেদিন শঙ্কামুক্ত হবেন, নিজের ভোট নিজে দিতে পারবেন, ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার সাহস পাবেন সেদিন এদেশে নির্বাচন হবে। এর আগে কোন নির্বাচন নয়। যদি জনগণের ২০১৪ সালের মতো প্রতারণা করার চেষ্টা করা হয় তাহলে জনগণ প্রস্তুত আছে জবাব দেয়ার জন্য। এখন আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে আমরা তাদের সাথে শামিল হবো কিনা।
দেশের বর্তমান দুরবস্থার কথা তুলে ধরে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, যারা ব্যাংক ডাকাতি করে, রিজার্ভ চুরি করে, বাংলাদেশের সম্পদ বিদেশে পাঁচার করে তাদের বিরুদ্ধে দেশের মানুষ, সব রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধ। আজকে গণতন্ত্রের জন্যই শুধু নয়, অর্থনীতি, স্বাধীনতা-স্বার্বভৌমত্ব টিকিয়ে রাখার স্বার্থেই এই সরকারের পদত্যাগ নিশ্চিত করতে হবে। আর এজন্য রাজপথে নেমে আসতে হবে।
খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনের জন্য সকলকে প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত হন। সেই আন্দোলন, যে আন্দোলনে খালেদা জিয়া মুক্ত হবে, তার সাথে গণতন্ত্র মুক্ত হবে। তারেক রহমান দেশে ফিরে আসবে জন স্রোতের মধ্য দিয়ে। বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ ও সহ প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম আলিমের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির নেতৃবৃন্দ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন