দিল্লি বিএনপিকে পাত্তা দেয় না আওয়ামী লীগের এক নেতার এই মন্তব্যের জবাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, দিল্লি বিএনপিকে পাত্তা দিক বা না দিক তাতে আপনাদের (আওয়ামী লীগ) কি? দিল্লি তো আর বাংলাদেশের মালিক না। তিনি বলেন, মালদ্বীপও তো দিল্লিকে পাত্তা দেয় না, সেটা তো বলেন না। শ্রীলংকা-মালদ্বীপ ওরাও একটা সময় ভারতের কথা শুনতো কিন্তু এখন তারা ভারতের ধারও ধারে না। ভারত আগে যা দিয়েছিল তাও তারা ফিরিয়ে দিতে চাইছে। কাঙালিনীর ইজ্জত আছে, তারা ঝুটা খাবার খায় না। আমরা তো কাঙালের চেয়েও অধম। কিছু না দিলেও জোর করে চাইয়া দেখি। গতকাল (বুধবার) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন আয়োজিত নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকার জনগণের প্রত্যাশা শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
ভারতের সাথে বাংলাদেশের নয়, একজন ব্যক্তি ও একটি দলের বন্ধুত্ব রয়েছে মন্তব্য করে গয়েশ্বর রায় বলেন, আসলে ভারতের সাথে বাংলাদেশের বন্ধুত্ব না। ভারতের বন্ধুত্ব হলো বাংলাদেশের একজন ব্যক্তি একটি দলের সাথে। কারণ কোন দেশ তাদের সাথে বন্ধুত্ব করতে পারে না। বর্তমান সরকারকে দেশের জনগণ না চাইলেও আমাদের প্রতিবেশী দেশ তাকে চায়। আমাদের এতেই সন্তুষ্ট হতে হবে এবং প্রতিবেশী দেশের খুশির জন্য এদেরকে ক্ষমতায় রাখতে হবে। বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার জন্য যেই কাজ করুক না কেন তাদেরকে একদিন বিশ্বদরবারে আসামি হয়ে দাঁড়াতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহŸান জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, জনগণের টাকায় আপনাদের বেতন হয়। অতএব জনগণের ওপর চোখ রাঙাবেন না। আপনাদের সম্পত্তি দিয়ে আপনারা বেতন পান না। আপনারা জনগণের সেবক, সেই জন্য আপনাদের সবাইকে অনুরোধ করবো আপনারা জনগণের সঙ্গে চোখ রাঙাবেন না। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, কোনো ব্যক্তিকে চিরস্থায়ী করার জন্য নিয়মনীতি বাদ দিয়ে আপনারা কাজ করবেন না। যাকে বাঁচাতে চান তিনি যখন খাদে পড়বেন আপনারা তখন যাবেন কোথায়? রাজনীতিবিদরা আপনাদের কিছু বলবে না। কিন্তু জনগণ যারা সরাসরি ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে তারা যদি হাত তুলে তাদের থামাবে কে? সেজন্য বলব যার যা দায়িত্ব সেভাবে পালন করুন।
খালেদা জিয়াকে ছাড়া বিএনপি নির্বাচনে যাবে না জানিয়ে গয়েশ্বর বলেন, আজ যদি খালেদা জিয়াকে ছেড়ে দিয়ে সরকার কাল নির্বাচন দেয় তাহলে কি সেই নির্বাচনে আমরা যাবো? খালেদা জিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক হলো গণতন্ত্রের, তিনি রাজনৈতিকভাবে জেলে গেছেন, রাজনৈতিকভাবেই মুক্ত হবেন। এটা সবাই জানেন। খালেদা জিয়ার প্রতিষ্ঠিত গণতন্ত্রে যদি জনগণ ভোট দিতে পারে তারা খালেদা জিয়ার ওপরে অসন্তুষ্ট হবে না। সুতরাং খালেদা জিয়া ছাড়া এদেশে গণতন্ত্র মুক্তি পাবে না।’ খালেদা জিয়াকে জেলে রেখে কোনো নির্বাচন হবে না। সেই জন্য খালেদা জিয়ার মুক্তি জাতির জন্য অপরিহার্য।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে এবং প্রচার সম্পাদক গোলাম সরোয়ার সরকারের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, সহ-তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কাদের গনি চৌধুরী প্রমুখ। ######
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন