কর বৃদ্ধি ও নতুন কর আরোপ ছাড়াই রংপুর সিটি করপোরেশনের ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে ১ হাজার ৬’শ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে।
আজ রোববার দুপুরে রংপুর সিটি করপোরেশনের সভাকক্ষে মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা ২০১৮-১৯ অর্থবছরের এই বাজেট ঘোষণা করেন। এসময় বিভিন্ন কাউন্সিলর, প্রধান নির্বাহী আখতার হোসেন আজাদসহ করপোরেশনের উর্ধতন কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন।
বাজেট ঘোষণাকালে মেয়র বলেন, এই বাজেটে প্রস্তাবিত রাজস্ব আয় ধরা হয়েছে ৫২ কোটি ৬০ লাখ ৫৯ হাজার ৪১১ টাকা। রাজস্ব ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৬ কোটি ৩ লাখ ৭৭ হাজার ৬১৩ টাকা। বাজেটে উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ ধরা হয়েছে ১ হাজার ৫৪৭ কোটি ৩৯ লাখ ৪০ হাজার ৫৮৯ কোটি টাকা। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৫১৪ কোটি টাকা। উন্নয়ন খাতের মধ্যে অবকাঠামো খাতে সরকার প্রদত্ত উন্নয়ন সহায়তা মঞ্জুরী হিসেবে ২শ ১০ কোটি টাকা, সরকার প্রদত্ত বিশেষ সহায়তা খাতে ২শ কোটি টাকা, ডিপিপি-জিওবি খাতে ২শ১০ কোটি টাকা, এমজিএসপি-২ খাতে ৫০ কোটি টাকা, কাউন্সিলর অফিস নির্মান বাবদ ১৫ কোটি টাকা, সিজিপি জাইকার খাতে ১শ ৫০ কোটি টাকা, শ্যামাসুন্দরী খাল উন্নয়নে ৬শ কোটি, কেডি ক্যানেল উন্নয়নে ৪শ কোটি, সোলার লাইট/জলবায়ু উন্নয়ন প্রকল্প/ইউনিসেফ প্রকল্পের খাতে ৪০ কোটি, বৈদেশিক সাহায্যপুষ্ট অন্যান্য প্রকল্প খাতে ১শ ৩০ কোটি এবং মেরামত ও রক্ষনাবেক্ষণ খাতে ৫ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে।
বাজেট বৃক্ততায় মেয়র আরও বলেন, বিগত মেয়রের আমলে অবকাঠামো উন্নয়নে ঠিকাদারদের প্রকল্পের জন্য অগ্রিম টাকা দেয়া হয়েছে। এখন ব্যাংক গ্যারান্টির কারনে তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত করতে পারছি না। অনেকেই অগ্রীম টাকা নিয়ে চলে গেছে। কাজ করছে না। কাজ শুরু করলেও শেষ করছে না। দুটি ব্রীজ ভেঙ্গে রেখেছে কাজ করছে না। ১৬ কোটি ৮৫ লাখ টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রাখা হয়েছে। এরমধ্যে ১ কোটি টাকা কিছুদিন আগে আমরা পরিশোধ করেছি। হাইকোর্ট থেকে চাকরি বহাল করে নিয়ে আসায় অনেককেই তাদের চার বছরের বেতন ভাতা দিতে হচ্ছে। সবমিলে একটি ভংগুর সিটি করপোরেশন পেয়েছি আমি। সব কিছুকে ঠিকঠাক করে একটি মাস্টার প্লানের মাধ্যমে বাস্তবসম্মত পরিকল্পিত নগরী প্রতিষ্ঠা করতে আমরা কাজ করছি। এজন্য মিডিয়ার সহযোগিতা প্রয়োজন। এ সময় সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আকতার হোসেন আজাদ ও কাউন্সিলরবৃন্দসহ বিভিন্ন মিডিয়ার সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন