যানজট নিরসন ও দুর্ঘটনা প্রতিরোধে যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণে স্পিডগান ব্যবহারের কার্যক্রম চালু করেছে হাইওয়ে পুলিশ। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত যানজট ও দুর্ঘটনাপ্রবন এলাকা হিসেবে এই কার্যক্রম চালু করা হয়। মহাসড়কে যাত্রীদের যাত্রা নিরাপদ করতে এ কার্যক্রমের সুফল পাওয়া যাবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
কুমিল্লা অঞ্চলের হাইওয়ে পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম জানান, মহাসড়ক ফাঁকা পেলেই চালকরা ওভারস্পিডে গাড়ি চালাতে তৎপর হয়ে ওঠেন। এতে গাড়ির চালকদের মাঝে সতর্কতামূলক সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে এবং এ প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণে মহাসড়কে দুর্ঘটনা অনেকাংশে কমে যাবে বলে আশা ব্যক্ত করেন এ পুলিশ সুপার। জানা যায়, মহাসড়কে দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাস, মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকারের নির্ধারিত গতি হচ্ছে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটার এবং পণ্যবাহী ট্রাকের গতি ৪৫-৬০ কিলোমিটার। অধিকাংশ সময় এ গতিসীমা লঙ্ঘন করে অনেক গাড়ির চালক ‘কার আগে কে যাবে’ এমন অসম প্রতিযোগিতায় বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালাতে গিয়ে দুর্ঘটনায় পতিত হন। তাই ঈদুল আযহার আগে মহাসড়কে গাড়ির ওভারস্পিড নিয়ন্ত্রণ এবং দুর্ঘটনা প্রতিরোধে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। জেলার দাউদকান্দি থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত যানজট ও দুর্ঘটনাপ্রবন বিভিন্ন এলাকায় স্পিডগান মেশিনের ব্যবহার চালু করা হয়। ঢাকাগামী বাস যাত্রী ফরহাদ হোসন ভূঁইয়া দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, হাইওয়ে পুলিশের স্পিডগান ব্যবহার যদি সঠিকভাবে পরিচালনা করা হয় তাহলে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে যেমনি যানজট কমবে, তেমনি সড়ক দুর্ঘটনা কমে আসবে বলে তিনি আশা করেন। চালক জুলহাস দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, মহাসড়কে লিমিটের বাইরে একটু বেশি গতিতে গাড়ি চালালেই পুলিশ মামলা করে দেয়। তাই নিয়ন্ত্রিত গতিতে গাড়ি চালাচ্ছি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন