নরসিংদী ইটাখোলা হাইওয়ে থানার অধীনে ৩৪ কিলোমিটার ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক। সড়কে শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে রয়েছে হাইওয়ে পুলিশসহ জেলার পুলিশ প্রশাসন। সড়কে চুরি-ডাকাতি ও অবৈধ গাড়ি চলাচল বন্ধে পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা মুখ্য। সরকার ঘোষিত মহাসড়কে চলাচল নিষিদ্ধ সিএনজি চালিত থ্রি হুইলার, ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা ও ইজিবাইক এত নিষেধাজ্ঞা থাকার সত্বেও হাইওয়ে চলাচল করতে দেখা যায়। ফলে অনেক সময় সড়কে ঘটে অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনা। সিএনজি, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, ইজিবাইক মহাসড়কে চলাচলকারী দ্রুতগামী যানবাহনের সাথে পাল্লা দিয়ে চলতে পারে না। তাই অসম প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয় চালকেরা। বিশেষ করে সিএনজি, অটোরিকশা, ইজিবাইক চালকেরা সড়কে চলাচলের মানে না কোন নিয়ম কানুন। তাদের নেই কোন ড্রাইভিং লাইসেন্স, সবকিছু মিলিয়ে অনিয়মের বেড়াজালে মহাসড়ক। সড়কে অনিয়ম বিশৃঙ্খলা রোধে নিরাপদ সড়ক আন্দোলনসহ বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন অনেক সময় প্রচার প্রচারণা চালাতে দেখা গেছে। শিবপুর উপজেলা নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সভাপতি আব্দুল হান্নান মানিকের কাছে হাইওয়েতে সরকার ঘোষিত অবৈধ যানবাহন চলাচল সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরাও অবৈধ যানবাহন শূন্য মহাসড়ক চাই, এটা আমাদের নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের একটি অংশ।
শিবপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ও নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সেক্রেটারি খোরশেদ আলম বলেন, মহাসড়কে অবৈধযান চলাচল বন্ধে পুলিশ প্রশাসনের আরো তৎপরতা বৃদ্ধি করতে হবে। এ সময় আব্দুর রশিদ নামে এক সিএনজি চালককে নিষেধাজ্ঞা সত্বেও হাইওয়েতে সিএনজি চালানোর বিষয়ে জানতে চাইলে- সে বলে স্যারদের সাথে আমার সম্পর্ক ভালো, তাই আমার কোনো সমস্যা হয় না।
এ বিষয়ে ইটাখোলা হাইওয়ে থানার ওসি হায়দার বলেন, আমার থানার অধীনে ৩৪ কিলোমিটার হাইওয়ে রয়েছে। সড়কে বিশৃঙ্খলা রোধে হাইওয়েতে একাধিক হাইওয়ে পুলিশ টিম টহলরত অবস্থায় থাকে। তারপরও কিছু দুষ্ট প্রকৃতির সিএনজি অটোরিকশা চালকেরা গাড়ি নিয়ে মহাসড়কে চলে আসে। তখন তাদের গাড়ি আটক করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়।
এ বিষয়ে পুলিশ প্রশাসনের আরো সক্রিয় ভূমিকা নেওয়ার দরকার বলে মনে করেন সিনিয়র সাংবাদিক নরসিংদী জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবীর শাহ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন