শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

পদকের স্বপ্ন দেখাচ্ছে কাবাডি

জাহেদ খোকন | প্রকাশের সময় : ১৫ আগস্ট, ২০১৮, ১২:০২ এএম

এশিয়ান গেমসের ১৮তম আসরে বাংলাদেশ পুরুষ কাবাডি দলের লক্ষ্য পদক পুনরুদ্ধার হলেও মহিলারা চায় সাফল্যের ধারাবাহিকতায় থাকতে। বলা যায় অভিন্ন লক্ষ্য নিয়েই তারা এবারের এশিয়াডে অংশ নিচ্ছে। আগামী শনিবার ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা ও পালেমবাং শহরে পর্দা উঠছে এবারের এশিয়ান গেমসের। অলিম্পিকের পর বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ এই ক্রীড়াযজ্ঞ শেষ হবে ২ সেপ্টেম্বর। এশিয়াডে অংশ নেয়া ১৪টি ডিসিপ্লিনে বাংলাদেশের লক্ষ্য ও সম্ভাবনা নিয়ে দৈনিক ইনকিলাবে ধারাবাহিক প্রতিবেদন ছাপা হচ্ছে। যার চতুর্দশ ও শেষ কিস্তিতে আজ থাকছে কাবাডি।
এশিয়ান গেমসে জায়গা পাওয়ার পর কাবাডি থেকে নিয়মিতই পদক পেয়ে আসছে বাংলাদেশ। ১৯৯০ বেইজিং এবং ‘৯৪ হিরোশিমা এশিয়ান গেমসে লাল-সবুজের পুরুষ কাবাডি দল রৌপ্যপদক জিতেছিল। ১৯৯৮ সালে ব্যাংকক এশিয়াডে তারা পায় ব্রোঞ্জ। ২০০২ বুসান এশিয়ান গেমসে ফের রূপা আসলেও পরেরবার দোহায় আসে ব্রোঞ্জপদক। তবে ২০১০ গুয়াংজু এশিয়ান গেমসে বাংলাদেশ পুরুষ কাবাডি দল পদক হারায়। ওই আসরে সাফল্য পায় মহিলা দল। তারা জিতে নেয় ব্রোঞ্জপদক। ২০১৪ ইনচন এশিয়াডে ব্রোঞ্জ জয়ের ধারাবাহিকতায় থাকে মহিলা দল। কিন্তু আবারো ব্যর্থ হয় বাংলাদেশ পুরুষ কাবাডি দল। পর পর দু’টি এশিয়াডে পদক শূণ্য ছিল তারা। এবার হতাশা কাটাতে চান মাসুদ করিমরা। তা কাটাতেই অভিজ্ঞ কোচ সুবিমল চন্দ্র দাসের অধীনে অনুশীলন করছে লাল-সবুজের পুরুষ কাবাডি খেলোয়াড়রা। ৪৫ জন খেলোয়াড় নিয়ে আবাসিক ক্যাম্পের মাধ্যমে শুরু হয়েছিল পুরুষ দলের এশিয়াড প্রস্তুতি। পরে তা ছেটে ৩০ জনের দল করা হয়। এখন ১৫ জন নিয়ে চলছে চূড়ান্ত প্রস্তুতি। তবে ইন্দোনেশিয়ায় যাবে ১২ জনের দল। কোচ সুবিমল বলেন,‘আমাদের একটাই লক্ষ্য পদক পুনরুদ্ধার করা। আমি আশাকরি ছেলেরা সেরাটা দিয়েই চেষ্টা করবে। দলের প্রস্তুতি ভালো।’ পদক পুনরুদ্ধারের ব্যাপারে আশাবাদী বাংলাদেশ পুরুষ দলের অধিনায়ক মাসুদ করিম। তিনি বলেন,‘দলে অভিজ্ঞ খেলোয়াড় বেশি। আগের আসর ইনচন এশিয়ান গেমসে খেলা চারজন আছি আমরা এবারের দলে। আরো আছেন পাকিস্তান ও ভারতের প্রো-লিগে খেলা চার খেলোয়াড়। তাই ভালো কিছু আশা করতেই পারি।’
অন্যদিকে পদক জয়ের ধারাবাহিকতায় থাকতে কঠোর পরিশ্রম করছে মহিলা কাবাডি দল। যদিও আড়াই বছর ধরে আন্তর্জাতিক কাবাডিতে নেই শাহনাজ পারভীন মালেকারা। ২০১৬ গৌহাটি-শিলং সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমসের পর মাঝে কেটে গেছে আড়াই বছর। এই সময়ে কোন আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেননি মালেকা-শিলারা। এদিকে দক্ষিণ কোরিয়া ও থাইল্যান্ডের মেয়েরা ক্রমে উন্নতি করায় এশিয়াডে ব্রোঞ্জ ধরে রাখা চাপ হয়ে দেখা দিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা দলের সামনে। তারপরেও তারা আশাবাদী। লক্ষ্যপূরণে কোচ আবদুল জলিলের তত্বাবধানে বর্তমানে নিবিড় অনুশীলনে মগ্ন লাল-সবুজের মেয়েরা। ৪২ জনকে নিয়ে ক্যাম্প শুরু হলেও পারফরমেন্সের ভিত্তিতে পর্যায়ক্রমে দল হয়েছে। প্রথম বাছাইয়ে ৩৫ ও দ্বিতীয় বাছাইয়ে ২৯ ও তৃতীয় বাছাইয়ে ১৬ জনের দল থেকে নির্বাচক কমিটির সুপারিশে সর্বশেষ ১২ জনের চুড়ান্ত দল গঠন হয়েছে। ইন্দোনেশিয়া যাত্রা আগে পদক ধরে রাখার আশাবাদ ব্যক্ত করেন কোচ জলিল। তিনি বলেন,‘অনুশীলন মানসম্মত হলেও প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার ঘাটতি রয়েছে। তারপরেও আমি আশাবাদী মেয়েরা ভালো করবে। তারা পদক ধরে রাখতে নিজেদের সেরাই খেলবে।’ দলের সিনিয়র খেলোয়াড় শাহনাজ পারভীন মালেকা বলেন,‘ইনশাল্লাহ আমরা এবারো সাফল্যের ধারাবাহিকতায় থাকবো। চেষ্টা করবো নিজেদের সেরাটা দিয়েই পদক ধরে রাখতে।’ কাবাডি ফেডারেশন সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ পুলিশের ডিআইজি (অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ও ডিসিপ্লিন) হাবিবুর রহমানের আশা লাল-সবুজের দু’টি দলই এবারের এশিয়াডে সাফল্য পাবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন