কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) ২৭টি ওয়ার্ডে কোরবানির পশু জবাইয়ের জন্য ১৯১টি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে নগর ভবনের মিলনায়তনে নির্ধারিত স্থানে কোরবানির পশু জবাই কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় এ বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপন করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন কুসিক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু। তিনি ঈদুল আজহায় নগরীর পরিবেশ স্বাস্থ্যসম্মত ও দূষণমুক্ত রাখতে সবার প্রতি আহ্বান জানান।
সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী কুমিল্লা নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডের নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানির পশু জবাইয়ের আহ্বান জানিয়ে মেয়র সাক্কু বলেন, ঈদুল আজহায় নগরীতে প্রায় ১২ হাজার কোরবানিদাতা যত্রতত্র পশু জবাই করে থাকেন। এতে করে জবাইকৃত পশুর রক্তও বর্জ্য পরিবেশ দুষণের মারাত্মক কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
গত দুই বছর ধরে সরকারি এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সিটি করপোরেশন কাজ করে যাচ্ছে।
অথচ দেখা গেছে বিগত সময়ে বেশিরভাগ কোরবানিদাতাই যত্রতত্র পশু জবাই করেছেন। কেউ কেউ নির্ধারিত স্থানে করেছেন। কিন্তু এই সংখ্যা কম। আমরা চাই এব্যাপারে সবাই সচেতন হোন। তাতে নির্দিষ্ট স্থানে পশু জবাই করা হলে বর্জ্য দ্রুত অপসারণ করে নগরীর পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখা সহজ হবে।
প্রতিটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের মাধ্যমে বর্জ্য রাখার জন্য কোরবানিদাতাদের বাড়িতে ১২ হাজার পরিবেশসম্মত ব্যাগ ও বিøচিং পাউডার বিতরণ করা হবে। ২৭টি ওয়ার্ডে বর্জ্যবাহী ২৯টি যানবাহন ঈদের দিন দুপুর থেকে পরবর্তী তিনদিন বিশেষ দায়িত্ব পালন করবে।
সভায় সিটি করপোরেশনের সচিব হেলাল উদ্দিন, জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আবদুল মান্নান, সনাক সভাপতি আলহাজ আলমগীর খান, সাংবাদিক সাদিক মামুন, গাজীউল হক সোহাগ, ওমর ফারুকী তাপস, খায়রুল আহসান মানিক এবং কুসিকের প্যানেল মেয়র জমির উদ্দিন খান জম্পি, কাউন্সিলর সরকার মাহমুদ জাবেদ, ইমরান বাচ্চু ও আলআমিন সাদি বক্তব্য রাখেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন