বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

চামড়ার জন্য ৭শ’ কোটি টাকা ঋণ পাচ্ছে ট্যানারি মালিকরা

হাসান সোহেল : | প্রকাশের সময় : ১৯ আগস্ট, ২০১৮, ১২:০১ এএম

কোরবানির পশুর চামড়া কিনতে প্রায় ৭শ’ কোটি টাকা ঋণ পাচ্ছে ট্যানারি মালিকরা। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন চারটি ব্যাংক এ বছর এ ঋণ দেবে। গত বছর ব্যাংকগুলো বিনিয়োগ করেছিল প্রায় ৬৫০ কোটি টাকা। বিতরণকৃত ঋণের পুরোটা আদায় না হওয়ায় বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়ানো হবে না বলে জানিয়েছে ব্যাংকগুলো।
সূত্র মতে, এ বছর সোনালী ব্যাংক ৭০ কোটি টাকা, অগ্রণী ব্যাংক ১৪৬ কোটি টাকা, রূপালী ব্যাংক ১৭০ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করবে। এছাড়া কোরবানির পশুর চামড়া ক্রয়ে জনতা ব্যাংক এ বছর কত টাকা ঋণ দেবে তা এখনো নির্ধারণ করেনি। ঋণের ক্ষেত্রে যেসব ট্যানারি মালিক গত বছরের সব টাকা পরিশোধ করেছেন তাদেরকে চাহিদামত ঋণ দেওয়া হবে বলে ব্যাংকগুলোর সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে।
এ ব্যাপারে সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ ইনকিলাবকে বলেন, গত বছরের মতো এবারো আমরা ৭০ কোটি টাকার ঋণ দিচ্ছি। আমরা যে প্রতিষ্ঠান ৩টিকে ঋণ দিচ্ছি- কালাম ট্যানারী, আমিন ট্যানারী এবং ভুলুয়া ট্যানারী। এগুলো ভালো প্রতিষ্ঠান। গতবারও একই পরিমাণ টাকা ৩টি প্রতিষ্ঠানকে বিতরণ করেছিল ব্যাংকটি।
রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকতা আতাউর রহমান প্রধান ইনকিলাবকে বলেন, গত বছর আমরা ১৩৫ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছিলাম। এবার ৩৫ কোটি টাকা বাড়িয়ে ১৭০ কোটি টাকা ঋণ দেওয়ার অনুমোদন দিয়েছে পরিচালনা পরিষদ।
অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থা পরিচালক ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ ইনকিলাবকে বলেন, এ বছর চামড়া কিনতে ১৪৬ কোটি টাকা বিতরণ করা হবে। তিনি জানান, এপেক্স, বে, ঢাকা হাইড এবং ডুয়েল ইন্টারন্যাশনালকে এই টাকা ঋণ দেয়া হবে। গত বছর অগ্রনী ব্যাংক বিতরণ করেছিল ১২০ কোটি টাকা।
চামড়া কিনতে জনতা ব্যাংক এ বছর কতো টাকা ঋণ দেবে এখনো নির্ধারণ হয়নি। ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ আবদুস ছালাম আজাদ ইনকিলাবকে বলেন, পূর্বের বিতরণকৃত ঋণের পুরোটা আদায় না হওয়ায় অনেকে এখনো নতুনভাবে আবেদন করতে পারেনি। যারা করেছে তাদেরকে যাচাই-বাছাই করে ঋণ দেওয়া হবে। ২/১ দিনের মধ্যে এটা নির্ধারণ করা হবে। এমনকি ঈদের পরেও নির্ধারণ করা হতে পারে। তবে গত বছরের মত ৩শ’ কোটি টাকার মধ্যেই ঋণের অঙ্ক থাকছে বলে উল্লেখ করেছেন আবদুস ছালাম আজাদ।
এদিকে কোনো খেলাপি প্রতিষ্ঠান যাতে নতুন করে ঋণ না পায় সে জন্য নজরদারি করছে ব্যাংকগুলো। অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে বিগত সময়ে যারা ঋণ নিয়ে সময়মতো ফেরত দিয়েছেন তাদেরকে। প্রকৃত ব্যবসায়ীদের ঋণ দিতে গ্রাহককে যাচাই বাছাই করারও নির্দেশ রয়েছে ব্যাংকগুলোর প্রতি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন