শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে উচ্চ সতর্কতা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৪ আগস্ট, ২০১৮, ১০:৪১ এএম

মিয়ানমার ও বাংলাদেশ সীমান্তে উচ্চ সতর্কতা জারি করেছে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ। আরাকান রোহিঙ্গা সালভেশন আর্মি’র (আরসা) হামলার প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে এ ব্যবস্থা নিয়েছে তারা। নিরাপত্তা রক্ষায় বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্ত বরাবর বসিয়েছে ১৬০টিরও বেশি পুলিশ আউটপোস্ট। এ খবর দিয়েছে মিয়ানমারের অনলাইন ইরাবতী। উল্লেখ্য, গত বছর ২৫ শে আগস্ট মংডু, বুথিডাং ও রাথেডাংয়ে ৩০টি পুলিশ আউটপোস্টে হামলা চালায় আরসা। আর এর জের ধরে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের ওপর চালায় নৃশংস নির্যাতন।
ওই হামলার প্রথম বার্ষিকী ২৫ শে আগস্ট শুক্রবার। আরসার ওই হামলায় এক ডজনেরও বেশি নিরাপত্তারক্ষী ও সরকারি কর্মচারী নিহত হন। এমনটা দাবি করে রাষ্ট্রীয় মিডিয়া। তাদের হিসেবে পরের মাসেই বেসামরিক মিলে নিহতের সংখ্যা ৮০র বেশি বলে স্বীকার করে কর্তৃপক্ষ। আরসাকে একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ হিসেবে আখ্যায়িত করে তাদের নিন্দা জানায় সরকার। রাখাইন রাজ্য পুলিশের কর্নেল অং মায়াত মোই ইরাবতীকেক বলেছেন, শরণার্থীদের রূপ ধরে আরসা সীমান্ত বরাবর হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে। সে জন্য সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। ১৬০ টিরও বেশি পুলিশ আউটপোস্টে মোতায়েন করা হয়েছে প্রায় এক হাজার পুলিশ সদস্য।
গত বছর আরসার হামলার জবাবে সেনাবাহিনী যে অভিযান চালায় তাতে আরাকানিজ, থেট এবং ডাইংনেট সহ বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর হাজার হাজার মানুষ পালাতে বাধ্য হয়। জাতিসংঘের হিসাব মতে, প্রায় ৭৭ লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে চলে যেতে বাধ্য হয়। তবে রোহিঙ্গাদের এত বিপুল সংখ্যাকে অস্বীকার করে মিয়ানমার সরকার। এরপর ওই এলাকায় স্থিতিশীলতা পুনর্বহাল করা হয়েছে। কিন্তু মংডুর সব সম্প্রদায়ই এখনও এক আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। এক বছর পেরিয়ে গেলেও তারা আক্রমণের শিকার হতে পারেন, যেমনটা হয়েছিল ২০১৬ সালের অক্টোবরের হামলার পরে।
পুলিশ কর্মকর্তা কর্নেল অং মাইয়াত মোই বলেছেন, সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার মতে, আরসার সন্ত্রাসীরা দলে লোক জড়ো করেছে। তারা অস্ত্র, গোলাবারুদ ও খাদ্য জমা করেছে। সীমান্তের কাছে ওই সব লোককে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। তিনি বাংলাদেশকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আরেকটি দেশে শরণার্থী শিবির রয়েছে। সেখানে শরণার্থীর বেশ ধরে অবস্থান করছে সন্ত্রাসীরা। আমরা জানতে পেরেছি প্রচুর পরিমাণের বিস্ফোরক, আগ্নেয়াস্ত্র, মাদক জব্দ করা হয়েছে সেখানে। সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকা প্রচুর মানুষকে সেখানে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাই মংডু ও বুথিডাং শহর এলাকায় সার্বক্ষণিকভাবে টহল দিচ্ছে পুলিশ। তারা ক্রিমিনাল রেকর্ড ধরে অপরাধীদের দিকে দৃষ্টি রেখেছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
শরৗফ ২৪ আগস্ট, ২০১৮, ১১:০১ এএম says : 0
মিয়ানমান ধৗরে ধৗরে ধ্বংস হয়ে যাবে রোহিংগা মুসলিমদের অভিশাপে যার আলামত বিভিন্ন ভাবে দেখা যাছেচ.
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন