ঢাকার সাভারে কলেজ ছাত্রীকে উত্ত্যক্তের পতিবাদ করায় মারুফ খান (২১) নামের এক ছাত্রকে কুপিয়ে হত্যা ঘটনার চার দিন পার হলেও পুলিশ হত্যাকান্ডের মুল হুতাসহ তার সহযোগীদের গ্রেফতার করতে পারেনি।
তবে পুলিশ বলছে, আসাদুল নামের এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ঈদের আগের দিন মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সাভার পৌর এলাকার ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের গেন্ডা বাসস্ট্যান্ডের পাশে ছুরিকাঘাতের গুরুত্বর জখম হয় মারুফ খাঁন (২১)। পরে মুমুর্ষ মারুফকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয়। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে মারুফ ছিল সবার ছোট ও আদরের। মারুফ সাভার পৌর এলাকার নামাগেন্ডা মহল্লার আতাউর রহমান খানের ছেলে। সে চলতি বছর ঢাকার মিরপুর কমার্স কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করে। পুলিশ জানায়, ঈদের দিন বুধবার সকালে নিহতের বড়ভাই লুৎফর রহমান খান মানিক বাদি হয়ে তালবাগ ও টিয়াবাড়ি মহল্লার মঞ্জু, শ্যামল, প্লাবন, মমিন, শামীম, রইছ, আসাদুল, মুক্তাদিন, ইমরানের নাম উল্লেখ করে সাভার মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) অপূর্ব দাস গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় জানান, উত্ত্যক্তর প্রতিবাদ করার কারনেই কলেজ ছাত্রকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে বখাটেরা। এ ঘটনায় মামলা আসামী আসাদুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়াও ঘটনার সাথে জড়িত অনান্যদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি জানান। নিহতের ভাই লুৎফর রহমান খান মানিক বলেন, মামলার আসামিরা হেলমেট পরে মোটর সাইকেল নিয়ে দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের তারা নানাভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। ঘটনাস্থলে পুলিশের সিসিটিভি রয়েছে। ভিডিও ফুটেজে পুরো ঘটনা স্পষ্ট। তিনি বলেন, ঘটনার চার দিন পর হলেও পুলিশ মুলহুতাসহ অন্যদের গ্রেফতার করতে পারেনি।
২০১৬ সালে সাভারের ব্যাংক কলোনী মহল্লায় এক স্কুল ছাত্রীকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় এই আসামীরাই অ্যাসেড স্কুলের তিন শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে জখম করলে থানায় মামলা হয়। এরপরও তারা স্কুল-কলেজগামী ছাত্রীদের ইভটিজিং করেই আসছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন