বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

নতুন জীবন শুরু করতে চাচ্ছে ভেনিজুয়েলানরা

রাজনৈতিক আশ্রয় আবেদন গ্রহণ করছে পেরু

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৭ আগস্ট, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

পেরুতে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে আবেদন করছে হাজার হাজার ভেনেজুয়েলাবাসী। অভিবাসী ঠেকাতে সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদারের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এসব আবেদন জমা পড়ছে বলে জানিয়েছেন পেরুর এক সরকারি কর্মকর্তা। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, এখন পেরুতে প্রবেশ করতে ভেনেজুয়েলাবাসীর কাছে পাসপোর্ট থাকতে হবে। আগে শুধু একটি পরিচয়পত্র থাকলেই চলতো। গত সপ্তাহে একই নিয়ম চালু করে ইকুয়েডর। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এখবর জানিয়েছে। নতুন পাসপোর্ট আইনের জন্য শুক্রবার সময়সীমা বেঁধে দেয় লিমা কর্তৃপক্ষ। বেঁধে দেওয়া সেই সময়সীমা শেষ হওয়ার পর নতুন নিয়ম কার্যকর করা হচ্ছে। অনেক ভেনেজুয়েলাবাসী ইকুয়েডর ও কলম্বিয়া পাড়ি দিয়ে পেরুতে নতুন জীবন শুরু করতে চাইছেন। দক্ষিণ ঐুক্তরাষ্ট্রর অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি পেরুতে স্থায়ী হতে চান অনেকে। শুক্রবার পেরুর সীমান্তে দ্রুত পৌঁছাতে ভেনেজুয়েলার নাগরিকদের বাস সরবরাহ করে ইকুয়েডর। এটাকে মানবিক করিডোর আখ্যা দেয় ইকুয়েডর। পেরুর প্রধানমন্ত্রী সিজার ভিলানুয়েভা বলেছেন, ভেনেজুয়েলাবাসীকে সীমান্তে পাসপোর্ট দেখাতে বলা হয়েছে। এর মানে এই নয় যে, তাদের জন্য সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, পরিচয়পত্রে খুব বেশি তথ্য থাকে না আর সহজেই তা নকল করা যায়। ভিসা ও পাসপোর্ট ছাড়া প্রায়ই দক্ষিণ ঐুক্তরাষ্ট্রর দেশগুলো সফর করতে পারে এর নাগরিকেরা। ইকুয়েডর ও পেরুসহ দ্য আন্দিয়ান কমিউনিটি ট্রেডিং ব্লকভুক্ত দেশগুলো পাসপোর্ট-ভিসা ছাড়াই এর নাগরিকদের পরস্পরের দেশে ভ্রমণ করার সুযোগ দেয়। তবে ভেনেজুয়েলা ২০০৬ সাল থেকে এই গ্রুপ থেকে বের হয়ে যায়। পেরুতে এখনই প্রায় ৪০ হাজার ভেনেজুয়েলার অভিবাসী রয়েছে। তাদের বেশিরভাগই বিগত বছরগুলোতে এসেছে। শুক্রবার আড়াই হাজারেরও বেশি ভেনেজুয়েলাবাসী পেরুর ছোট সীমান্ত আগুয়াস ভার্দেস অতিক্রম করে। এছাড়া মুল ক্রসিং পয়েন্ট টাম্বিস অভিমুখে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে আরও কয়েক হাজার। গত কয়েক সপ্তাহের প্রতিদিনই টাম্বিস পয়েন্ট দিয়ে প্রায় ৩ হাজার ভেনেজুয়ালাবাসী পেরুতে প্রবেশ করেছে। খাবার আর ওষুধ সঙ্কটের কারণে হাজার হাজার ভেনেজুয়েলার নাগরিক দেশ ত্যাগের মধ্যে সীমান্তে কড়াকড়ি আরোপ করে তাদের প্রতিবেশী দেশ দুটি। বিপর্যস্ত অর্থনীতির কারণে ২০১৪ সাল থেকে ২০ লাখেরও বেশি ভেনেজুয়েলার বাসিন্দা দেশ ছেড়েছে। প্রতিবেশী বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নেওয়া এসব নাগরিককে নিয়ে আঞ্চলিক উত্তেজনাও দেখা দিয়েছে। দক্ষিণ ঐুক্তরাষ্ট্রর অন্য দেশগুলোর মতো ভেনেজুয়েলার অর্থনৈতিক সঙ্কট থেকে বাঁচতে চাওয়াদের নিজ দেশে প্রবেশে বাধা দিচ্ছে পেরু সরকার। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, দক্ষিণ ঐুক্তরাষ্ট্রয় যে শরণার্থী সঙ্কট চলছে তার সঙ্গে ২০১৫ সালে ভূমধ্যসাগরে চলা শরণার্থী সঙ্কটের তুলনা চলে। দক্ষিণ ঐুক্তরাষ্ট্রর শরণার্থী সঙ্কটে আঞ্চলিক উদ্যোগ সমন্বয় করতে একটি বিশেষ দল গঠনেরও পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে সংস্থাটি। রয়টার্স, বিবিসি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন