ফিল হেলদি লাইফ
বয়স বেশি হয়ে গেলে ও শরীর দুর্বল হলে বেশির ভাগ মানুষই হাঁটুর ব্যথায় (নি পেইন) ভোগেন। তবে তা মারাত্মক পর্যায়ে না পৌঁছা পর্যন্ত কারো টনক নড়ে না।
হাঁটু ব্যথা এমন এক রোগ যা যে কোনো বয়সের লোকের হতে পারে, আর যদি সময়মত চিকিৎসা করা না যায় তাহলে তা চলাফেরায় স্থায়ী প্রভাব ফেলতে পারে। তাই আপনার কি অবস্থা তা জানাতে হবে, অন্যরা তাতে যাই মনে করুক নআ কেন।
হাঁটুর ব্যথার সমস্যা থেকে মুক্তির সাধারণ পরামর্শ হচ্ছে অপারেশন। কিন্তু আমরা আপনাকে একটি ফলপ্রসূ, কম খরচের এবং কম ঝামেলার একটি সমাধান দিতে চাই।
হাঁটুর ক্ষতি হয় কেন?
হাঁটু হচ্ছে এক জটিল সংযোগস্থল (জয়েন্ট) যা উরুকে পায়ের সাথে যুক্ত করে রাখে যার অর্থ হচ্ছে জঙ্ঘাস্থি (টিবিয়া), ফিমার ও হাঁটুর মধ্যকার সংযোগস্থল।
হাঁটুর হাড়ের সাথে অন্য সব হাড় ও রগের সংযোগ রয়েছে। আর কার্টিলেজের (কোমলাস্থি) উপস্থিতি চলাফেরায় সহায়তা করে। হাঁটু মেনিস্কাস ও ব্যাগ বা ব্যাগস নামক দু’টি বিয়ারিং সজ্জিত যা ঘর্ষণ হ্রাস করে ও হাঁটুর কাঠামোকে রক্ষা করে।
যেহেতু পা দেহের সমস্ত ওজন বহন করে সে কারণে হাঁটু জখম হওয়া এবং আঘাত লাগা স্থানে ক্রমাগত ব্যথার সাথে মারাত্মক হাঁটু ফোলা সাধারণ ঘটনা। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে এসবের অনেক রোগীকেই চিকিৎসা করা যেতে পারে। কিন্তু অন্যদের বাড়িতে ও টোটকা পদ্ধতিতে চিকিৎসা করা যেতে পারে। নিচে হাঁটুর ব্যথার বিভিন্ন কারণ, সে সবের প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ধরন সমএর্ক বলা হয়েছেঃ
ওষুধের সাহায্যে ব্যথামুক্তি
হাঁটু যেহেতু দেহের ওজন বহন করে তাই দেহের সকল সংযোগস্থলের মধ্যে হাঁটুর জয়েন্টেই বেশি সমস্যা হয়। তাই শরীরের প্রধান সন্দেহভাজন স্থানও এটাই যা মোটেই ভালো কথা নয়। হাঁটুর কোনো ক্ষতি হলে স্বাভাবিক ভাবে হাঁটা চলা করা যায় না।
এ সমস্যা থেকে কিভাবে মুক্তি পাবেন? এ বিষয়গুলো অনুসরণ করুনঃ
উপকরণ
২টি লেবু ও তিলের তেল।
প্রস্তুত প্রণাালি
লেবু দু’টি চোট ছোট টুকরো করে কাটুন। পাতলা সূতি কাপড়ের (গজও হতে পারে) মধ্যে রাখুন। তারপর গরম তিলের তেলের মধ্যে চুবিয়ে রাখুন। এবার অতিরিক্ত তেল অপসারণ করুন। তারপর হাঁটুর ব্যথার জায়গায় রাখুন।
লেবুসহ একটি ভেজা কাপড় দশ মিনিট ব্যথার স্থানে রাখুন। ব্যথা না সারা পর্যন্ত দিনে দু’বার এটা করুন।
বেশ কয়েকবার এ রকম করুন। তারপর হাঁটুর জয়েন্টে পরিবর্তন দেখতে পাবেন। এতে যে ফল পাবেন, তা নিশ্চিত।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন